কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি কৃষকের তীরে এসে তরী ডুবার সম্ভবনা

কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি কৃষকের তীরে এসে তরী ডুবার সম্ভবনা

মোঃ সুজাত আলী,জগন্নাথপুর:
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে উজানের নেমে আসা পানিতে কুশিয়ারা নদীর নিম্ন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। উজানের পাহাড়ি ঢল মনু নদী হয়ে কুশিয়ারা নদীতে প্রবেশ করার ফলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও নবীগঞ্জের নদীর তীরবর্তী জনপদ প্রতিবছর বন্যা কবলিত হয়।পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী উভয় এলাকায় এখন আগাম বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারনে জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীর মোহনায় একটি ফসল রক্ষা বেড়ীবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।বর্তমানে এই বাঁধের বিপদসীমার কাছাকাছি কুশিয়ারা নদীর পানি অবস্থান করছে। মাত্র ৫ ইঞ্চি পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেলেই বাঁধটির উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করবে। এতে নবীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলার কৃষকের বোরোধান তলিয়ে যাওয়ার সম্ভনা রয়েছে। তবে উক্ত বাঁধের ১কিলোমিটার ভাটিতে হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের নিকটে বিবিয়ানা নদীর মোহনায় আরেকটি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করেছে।যদি এ বাঁধটিও ভেঙ্গে যায় তাহলে নবীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলার কয়েকটি হাওরে পানি প্রবেশ করে কৃষকের বোরোধান তলিয়ে যাওয়ার সম্ভনা রয়েছে।
এ বাঁধটি নির্মাণে অনিয়ম হওয়ায় ঝুঁকিপূর্র্ণ রয়েছে মর্মে জাতীয় ও স্থানীয় একাদিক সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।গত বছর আগাম বন্যায় কৃষকের বোরোধান বানের পানিতে তলিয়ে যায়। ফসলহারা ৮০ ভাগ কৃষক এ বছর বোরোধান ঘরে তুলতে সক্ষম হলেও এখন ২০ ভাগ কৃষকের বোরোধান কাটার বাকি রয়েছে বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে খবর পাওয়া গেছে। একদিকে কৃষকরা আবহাওয়া প্রতিকুল না থাকায় বৃষ্টির কারনে ধান কাটা,মাড়াই,ঝাড়াই ও ধান শুকোনো করতে পারছেনা,অন্যদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ফসল হরানোর শঙ্কা।নবনির্মিত ফসল রক্ষা বাঁধ সমূহ ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় আরো দুয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে কৃষকের অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মো.নাসির উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ডুবন্ত বাঁধটি বর্তমানে সংস্কারের কোন পরিকল্পনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেই। এ অবস্থায় বাঁধ সংস্কারের মাটি ও শ্রমিক সংকট হবে বলেও তিনি জানান।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment