খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আর কোন সংলাপ নেই। যথাসময়ে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেউ যদি নির্বাচনে না আসে সেটা তাদের ব্যাপার। খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে জেলে আছে তা এদেশের মানুষ ভালো করে জানেন। তার জামিন হওয়ার বিষয় আদালতের ব্যাপার। আদালত ইচ্ছে করলে তাকে জামিন দিতে পারেন। খালেদা জিয়া জেলহাজতে থাকলে তার জন্য নির্বাচন বসে থাকবে না।
মঙ্গলবার বিকেলে কেরাণীগঞ্জের আটিবাজারে ছায়ানীড় কমিউনিটি সেন্টারে একাদশ সংসদ নির্বাচনী কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন যে কেউ চাইতে পারেন। কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়ার আগেই আমার লোকজনের উপড় হামলা ও হুমকি দিলে কোনভাবে ছাড় দেওয়া হবে না। কেরানীগঞ্জে এখন শাহীনলীগ হয়ে গেছে। ৮-৯ বছর ধরে শাহীন আহমেদ পকেট কমিটির মাধ্যমে দল চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমি ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আমাকে ঢাকা-২ আসনে সভা-সমাবেশ করতে নিষেধ করেননি। উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাবার আশায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কেরানীগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের কমিটি করা হবে। একজন লোকের আশায় আওয়ামী লীগ বসে থাকতে পারে না।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা-৩ আসনের সংসদ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ছবি দিয়ে ঢাকা-৩ আসনে শাহীন আহমেদ পোস্টার লাগাচ্ছেন। আমার ছবি দিয়ে নেতা-কর্মীদের লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। ২৬ মার্চে আওয়ামী লীগের কর্মী আখের হোসেন আখির ওপড় বর্বর হামলা চালানো হয়েছে।
সমাবশে ঢাকা জেলা যুবলীগের সভাপতি শফিউল আযম খান বারকুর সভাপতিত্বে যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহসম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব, ইঞ্জিনিয়র আব্দুল হান্নান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আবু সিদ্দিক, আটি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি হাজি জাকির হোসেন, ঢাকা জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ শাহাদাত হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।