গাজীপুরে নাটক করেছে সরকার: ফখরুল

গাজীপুরে নাটক করেছে সরকার: ফখরুল

গাজীপুর সিটি করপোরশন নির্বাচন আদালতের আদেশে স্থগিত হওয়া আর আদালতই সে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলেও একে সরকারের নাটক বলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, এর পেছনে কারা কী করছে, সেটা জনগণ বুঝে গেছে।

সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজের আবেদনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট ঝুলে যায় গত ৬ মে। তবে নির্বাচন কমিশন এবং গাজীপুরের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম এবং বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকারের আপিলে স্থহিতাদেশ উঠে যায়।

স্থগিতাদেশ উঠে গেলেও তবে পূর্ব ঘোষিত ১৫ মে ভোট হচ্ছে না এটা নিশ্চিত। আপিল বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে ২৮ জুনের মধ্যে ভোট নিতে বলেছে। আর ভোটের সময় নির্ধারণে নির্বাচন কমিশন বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ১৩ মে।

বৃহস্পতিবার আপিলের রায় আসার পরদিন শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সরকার নাটক ও প্রহসন করছে।’

নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের নিচতলায় দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক জীবনের ৩৪ বছরের ৯২টি ছবি নিয়ে এক প্রদর্শনীতে যোগ দিয়েছিলেন ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে এমন একটি কাজ করল, যেখানে লোকজন বুঝে নিয়েছে যে এর পিছনে কারা কী করছে এবং কীভাবে করছে।’

এর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনও সীমানা জটিলতায় দুটি রিটের কারণে আটকে যায়। সে সময়ও বিএনপি এর পেছনে সরকারের কারসাজির অভিযোগ আনে। তবে রিটকারী দুই জনের একজন ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এবং ভাটারা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের নাম প্রকাশের পর এ নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করেনি দল।

তবে গাজীপুরে রিটকারী সুরুজ আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় বিএনপির এবার আক্রমণের ‘ধার’ বেশি। তবে সুরুজের পক্ষে গত ১০ এপ্রিল উচ্চ আদালতে ভোট স্থগিতে রিটের আইনজীবী ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। এই বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর আওয়ামী লীগ আবার পাল্টা আক্রমণ করেছে বিএনপিকে।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন ফখরুল। বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এমনকি এজেন্ট যারা হবেন, তাদেরকে পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

‘আমাদের দলের তারা জানিয়েছেন এখন শুধু গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্যই তারা কাজ করছে। নির্বাচনের কোন কাজ তারা করতে পারছেন না।’

ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে আজকে আওয়ামী লীগ পুলিশকে দিয়ে গোটা নির্বাচনী মাঠ সরকার দখল করে নিচ্ছে।’

‘আওয়ামী লীগ তো মাঠে নেই। মাঠে পুলিশ। শেখ হাসিনা এই রাষ্ট্রকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আজকে আইনশৃঙ্খলা প্রশাসন শেষ হয়ে গেছে। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

‘ব্যাংকিং খাত লুট করে অর্থনীতির সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা লুটপাট হচ্ছে।’

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment