ধরা পড়ে সঙ্গীদের নাম বললো পাঁচ ছিনতাইকারী

ধরা পড়ে সঙ্গীদের নাম বললো পাঁচ ছিনতাইকারী
সিলেট প্রতিনিধি:
গত ৭ মে। বিকাল পৌনে ৪টা। ঘটনাস্থল সিলেট-কানাইঘাট সড়কের মুরাদপুর পয়েন্টের কাছাকাছি। সিলেট নগরীর লালাদিঘীরপাড়স্থ একটি ব্যাংকের শাখা থেকে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা তুলে সিএনজি অটোরিকশাযোগে যাচ্ছিলেন ল্যান্স কর্পোরাল মো. ময়নুল ইসলাম (৩২)। ওই পয়েন্টের কাছে দুটি মোটরসাইকেলযোগে পাঁচ ছিনতাইকারী এসে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
ঘটনার পর ল্যান্স কর্পোরাল ময়নুল ইসলাম শাহপরান থানায় দ্রুত বিচার আইন ২০০২ (সংশোধনী-২০০৯) এর ৪/৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন (নং-০৪/০৭/০৫/১৮)। এরপর মাঠে নামে পুলিশ। শুরু হয় ছিনতাইকারীদের অবস্থান সনাক্ত করার মিশন।
টানা দুই দিন চেষ্টার পর গত বুধবার পৃথক স্থান থেকে পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি কালো রঙের পালসার মোটরসাইকেল, একটি অ্যাপাচি ছাই কালারের মোটরসাইকেল (ঘটনার সময় ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত), একটি ছোরা ও নগদ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার চরশিহারী শাইল গ্রামের মৃত মো. আলীর ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৫), তিনি কোম্পানিগঞ্জ থানার পূর্ব ইসলামপুরের নতুন জীবনপুরের রিয়াজ উদ্দিন ওরফে খোকার ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে কালা শফিক ওরফে শফিক খন্দকার (৩৩), মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার মনরাজ মাহমুদপুরের মৃত আজমান আহমদের ছেলে রাহেল আহমদ (২৭), সিলেট শাহপরান থানার খাদিমপাড়ার কল্লগ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে মুক্তার হোসেন (৩৫) ও মেজরটিলা পশ্চিম ভাটপাড়ার হাবিবুর রহমান কালা মিয়ার ছেলে দিলোয়ার হোসেন আলম (৩৫)।
নাসির উদ্দিনকে সিলেট শাহপরান থানাধীন খাদিমপাড়ার মাহমুদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানা ও দক্ষিন সুরমা থানায় দুটি মামলা রয়েছে। গোলাপগঞ্জ থানার মামলায় তিনি ১০ বছরের দ-প্রাপ্ত ও ৫ হাজার টাকা জরিমানায় দ-িত।
শফিকুল ইসলামকে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার ফয়েজ বোর্ডিয় থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দক্ষিন সুরমা থানায় একটি ও শাহপরান থানায় দুটি মামলা রয়েছে।
রাহেল আহমদকে সিলেট বিমানবন্দর থানার লাখাউড়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা রয়েছে।
মুক্তার হোসেনকেও ফয়েজ বোর্ডিং থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে শাহপরান থানা ও কোতোয়ালী থানায় দুটি মামলা রয়েছে।
দিলোয়ার হোসেন আলমকে খাদিমপাড়া মাহমুদপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে শাহপরান থানায় একটি মামলা রয়েছে।
এই ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার অভিযানের সাথে জড়িত ছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (অপরাধ, দক্ষিণ) জ্যোতির্ময় সরকার।
তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যকে কাজে লাগিয়ে এই পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে তারা নিজেদের ছিনতাইয়ের সঙ্গীদের নামও প্রকাশ করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করছে না। তাদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment