প্রধানমন্ত্রীর দরবারে এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের আকুতি

প্রধানমন্ত্রীর দরবারে এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের আকুতি
ছাগলনাইয়া প্রতিনিধি ঃ
ছাগলনাইয়া পৌরসভাধীন হিচাছরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবদুর রহিম চুট্টু মিয়ার ছেলে সৈয়দ কামালের প্রধানমন্ত্রীরর নিকট আকুল আবেদন,
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মহোদয়,আপনার অবদানে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা আজ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের উপাধিতে ভূষিত হয়ে সম্মানিত হয়েছে।আপনার অবদানে আজ মুক্তিযোদ্ধারা পেয়েছে মর্যাদার স্বীকৃতি।মুক্তিযোদ্ধারা যাতে তাদের জীবনের শেষ সময় টুকু ভালোভাবে অতিবাহিত করতে পারে,সে জন্য আপনি সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ঘোষিত খেতাব অনুযায়ী প্রতিমাসে সম্মানজনক ভাতা প্রদানের ব্যাবস্থা করেছেন।গরীব মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মানে দিচ্ছেন অর্থ বরাদ্দ।অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রদান করছেন চিকিৎসা ভাতা।মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতায় আপনি যে,অবদান রাখছেন,তা এই দেশের ইতিহাসে শতাব্দি পর শতাব্দি স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী,আমি একজন মুমুর্ষ অবস্থায় থাকা মৃত্যু পথযাত্রী অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।আমি শতভাগ বিশ্বাস করি,আপনি যুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের দুঃখ কষ্ঠ স্বচোখে দেখার পর তাদের ঐ সময়ে রাখা অবদানের কথা স্বরণ করে,বর্তমানে তাদের জন্য যা করছেন,তা আন্তরিকতার সাথেই করছেন।আপনি ব্যাতিত বর্তমানে এই দেশে সভা-সেমিনার বা বক্তিতা মঞ্চে,এই দেশের বাকী সব মন্ত্রী,এম,পি,রাজনৈতীক নেতা,বুদ্ধিজীবি,সুশীল সমাজ,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারী বা বেসরকারী কর্মকর্তরা,উঠেই প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণ করে,মুক্তিযোদ্ধে রাখা তাদের অবদানের বিষয় স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে করুণকন্ঠে যে,কথা গুলি বলেন তা শুধু আপনাকে খুশি করার লক্ষেই বলে থাকেন।আর বুঝাতে চেষ্ঠা করেন তারা মুক্তিযোদ্ধা স্বপক্ষের দল।তা না হলে আমি,আমার মুমুর্ষ মৃত্যু পথযাত্রী পিতা,বীর মুক্তিযোদ্ধা,ছাগলনাইয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের পর,পর দুইবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত ডেপুটি কমান্ডার,সৈয়দ আবদুর রহিম চুট্টু মিয়ার জন্য, ঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসা ভাতা পাওয়ার আশায় দীর্ঘ ৬ মাস বার,বার চিকিৎসা ভাতা প্রদানে দায়ীত্ব প্রাপ্ত ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সাহিদা ফাতেমা চৌধুরীর দ্বারস্থ হওয়ার পর ও কেন এখনো পেলাম না।বার,বার যাওয়ার পরও যখন তিনি বিষয়টি আমলে নিচ্ছিলেন না,তখন ভাবলাম হয়তো আমার পরিবারের অবস্থান ও বাবার শারিরীক অবস্থার বিষয় উনাকে অবগত করলে,তিনি দয়া অনুগত হয়ে দ্রুত কাজটি করে দিবেন।তাই উনাকে বল্লাম,স্যার আমার পিতার ফুসফুস টা সম্পুর্ণ অকেজো হয়েগেছে,উনার ফুসফুস টা বর্তমানে কৃত্রিম উপায়ে ২৪ ঘন্টা অক্সিজেনের মাধ্যমে সচল রাখতে হয়।দৈনিক দুটি অক্সিজেনের বোতল ব্যাবহার বাদ্যতামূলক হওয়ায় এর মাসিক ব্যায়বার বহন করতে হয় ৩০ হাজার টাকা।ঔষদ পত্র সহ বিভিন্ন খরছাধী মিলিয়ে আব্বার জন্য আমাদেরকে মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মত খরচ করতে হয়।যা আমাদের মত নিম্ন মধ্যভিত্ত পরিবারের জন্য বহন করা অত্যান্ত কষ্ঠসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়েছে।আজ প্রায় ৯ টি মাস আমার পিতা ঘরের একটি কক্ষে বন্ধি অবস্থায় রয়েছে।এই কয়মাসে আমাদের পরিবার প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার দ্বার-কর্জের দেনাদার হয়ে পড়েছে।সরকারের পক্ষথেকে কি পরিমান মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসা ভাতার অর্থ প্রদান করা হবে তা জানিনা,তদাপি এই মুহুর্তে যাই পাওয়া যায় তাই আমাদের জন্য লাখ টাকার সমতুল্য হবে।তাকে বিষয়টি বলার পর দয়া দেখানুতো দূরে থাকা উল্টো আমাকে এই বিষয় নিয়ে আর যেন তার কাছে না যাই,তা বলে তাৎক্ষণিক তার এষ্টোনোকে ডেকে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলে,আমাকে বিদায় দেন।উনার কথামত এষ্টোনোর সাথে একাধীক বার দেখা করলে সে দু’চার দিনের মধ্যে হয়ে যাবে এই কথাটি প্রায় আজ তিন মাস যাবৎ বলছেন।এখন পর্যন্ত দু’চার দিনটাই শেষ হলো না।বর্তমানে আমি মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসা ভাতা পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হয়েগেছি,আমার বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় হয়তো আমি এই ভাতা আর পাবো না।উনার মৃত্যুর পর এই ভাতা দেওয়ার বিধান আছে কিনা তা শুধু ভাতা প্রদানকারী কর্মকর্তাই ভালো জানেন।দেশে আমার পিতার মত যদি আরো একাধীক মুক্তিযোদ্ধা অসুস্থ থেকে ও মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসা ভাতা পাওয়ার ব্যাপারে আমার মত হয়রানির হয়।তাহলে এই বিষয় মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ ব্যাতিত কেউ এই ভাতা পাবে বলে আমার মনে হয় না।তাই আমি এই বিষয় প্রধান মন্ত্রীর সু-দৃষ্ঠি কামনা করছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment