ঢাকামুখী সৌদি উড়োজাহাজের জেদ্দায় জরুরি অবতরণ বেশিরভাগ যাত্রী বাংলাদেশি, আহত ৫২

মদিনা থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জেদ্দায় জরুরি অবতরণ করেছে। উড়োজাহাজটিতে ১৪১ যাত্রী ও ১০ জন ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন বাংলাদেশি।

সৌদি গেজেট জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে এয়ারবাস এ-৩৩০-২০০ উড়োজাহাজটি জেদ্দায় বাদশাহ আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। নামার সময় নোজ গিয়ার না খোলায় বিমানের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উদ্ধারকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে যাত্রীদের সরিয়ে নেন এবং ৭০ জনকে বিমানবন্দরেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। আরও চারজনকে পাঠানো হয় হেলথ সেন্টারে।

 

সৌদি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র আবদুরাহমান আল-তাইয়েব বলেন, মদিনা থেকে রাত ৮টায় উড্ডয়নের পরপরই ফ্লাইট এসভি ৩৮১৮-তে হাইড্রোলিক সিস্টেমে গোলযোগ ধরা পড়ে। ওই পরিস্থিতিতে পাইলট গতিপথ বদলে জেদ্দায় জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, জেদ্দার আকাশে ঘণ্টাখানেক চক্কর দিয়েও পাইলট সামনের ল্যান্ডিং গিয়ারের জটিলতা ঠিক করতে না পারায় উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরের ইমার্জেন্সি রানওয়েতে অবতরণ করান।

অনলাইনে পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হচ্ছে। পরে সেটি ছিটকে পড়ে থেমে যায়।

সৌদি এভিয়েশন ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর এক বিবৃতিতে বলা হয়, উড়োজাহাজের জরুরি বহির্গমন দিয়ে যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় ৫২ জন সামান্য আহত হন। একজন নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

 

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ মসীহ সমকালকে জানান, উড়োজাহাজটিতে বেশিরভাগই ছিলেন বাংলাদেশি যাত্রী। মদিনা থেকে উড্ডয়নের পর এটিতে ত্রুটি ধরা পড়ে। পরে যথেষ্ট সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এটি জেদ্দায় অবতরণ করায় সৌদি কর্তৃপক্ষ।

রাষ্ট্রদূত জানান, এ ঘটনায় ৮-১০ যাত্রী সামান্য আহত হলেও বেশিরভাগই নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। জেদ্দায় বাংলাদেশি মিশন এ ঘটনার দিকে নজর রাখছে।

এএফপি জানায়, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে একই ধরনের একটি ঘটনায় সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৬৭ মদিনায় জরুরি অবতরণ করে। এতে ২৯ জন আহত হয়েছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment