ফিলিপাইন নয়, অভিযান বাংলাদেশ মডেলে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ফিলিপাইন বা অন্য কোনো দেশের মডেলে নয়- পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করে বাংলাদেশ মডেলে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। অভিযান চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনী আইনবহির্ভূত কোনো কাজ করেনি বা করছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের কার্যালয়ে সমকালের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পাঁচটি সংস্থা পৃথকভাবে সারাদেশে মাদক ব্যবসায় জড়িতদের তালিকা তৈরি করেছে। যাদের নাম পাঁচটিতেই আছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী- সেটা পুলিশ বলুন আর র‌্যাব বলুন, যেই হোক- তারাও যদি মাদকসহ কোনো ধরনের বেআইনি কাজে জড়ায়, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বার্তা সবার কাছে সমানভাবে দিতে চাই, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সমকাল :পুলিশ-র‌্যাব হঠাৎ করেই দেশজুড়ে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। হঠাৎ শুরু হওয়া এ অভিযানের মূল লক্ষ্য কী?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :হঠাৎ করে এ অভিযান শুরু হয়নি। পাঁচটি সংস্থা পৃথকভাবে সারাদেশে মাদক ব্যবসায় সংশ্নিষ্টদের তালিকা তৈরি করেছে। সেগুলো ধরেই এ অভিযান চালানো হচ্ছে। মাদক এতই বিস্তৃত হয়েছে যে, দেশের যুবসমাজ ও মেধাবী তারুণ্যকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার কথা বলেছিলেন, একইভাবে মাদককে নির্মূল করার কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় মাদক রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গৃহীত হয়েছে। সব গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তালিকা নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী পদক্ষেপ নিচ্ছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে মাদকবিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। শিক্ষক, ছাত্র, আলেম, জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে আহ্বান করছি, যেভাবে জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন, সেইভাবে যেন মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘুরে দাঁড়ান। জনগণ বুঝতে পারছে, আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে এর বিকল্প কিছু নেই। তাই এ অভিযান শুরু করেছি।

সমকাল :’বন্দুকযুদ্ধে’র মধ্য দিয়ে মাদক প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে কি-না, তা নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাসহ কারও কারও সংশয় রয়েছে। আপনার অভিমত কী?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :’বন্দুকযুদ্ধ’ মাদকের সমাধান, তা কখনও বলা হয়নি। ‘বন্দুকযুদ্ধ’ কেন হচ্ছে, সেটা বুঝতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি করা তালিকা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। এ তালিকা অনুযায়ী তারা যখন তাদের কাউকে ধরছেন, তখন যারা দোষ স্বীকার করছে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। এর পর তারা কারা অন্তরীণ হচ্ছে। যারা দোষী নয় তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। গোয়েন্দাদের কাছ থেকে এ রকম ইঙ্গিত মিলছে, যারা মাদকের ব্যবহার, মাদক ব্যবসা ও পাচার করে, তাদের কাছে কিন্তু অবৈধ অস্ত্রও রয়েছে। তাছাড়া এমন কিছু ঘটনাও ঘটেছে যে, অভিযান শুরু করার পর মাদকসংশ্নিষ্টরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করছে। তারা গুলি করছে। যেখানে তারা ‘ফায়ার ওপেন’ করছে, সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী নিজেদের সুরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। কয়েক দিনের মাদকবিরোধী অভিযানে আড়াই হাজার লোক কারা অন্তরীণ হয়েছে।

সমকাল :ইয়াবা এখন এ দেশে ফেনসিডিলের জায়গা দখল করেছে। ফেনসিডিল মোটামুটি রোধ করা গেলেও ইয়াবার স্রোত কেন ঠেকানো যাচ্ছে না? এ ক্ষেত্রে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সাড়া না পাওয়া কি কূটনৈতিক ব্যর্থতা?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :ভারত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখব- এটা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নীতি। ভারতের সঙ্গে বহুবার ফেনসিডিল প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় ফেনসিডিল তৈরি ও পাচার বন্ধে তারা ব্যবস্থা নিয়েছে। বিজিবিও নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। একইভাবে মিয়ানমারের সঙ্গেও অনেকবার বৈঠক হয়েছে। সেখানে দেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ডিজি ও বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের বিজিপির কথাবার্তা হয়েছে। আমার সঙ্গেও কথা হয়েছে। ইয়াবা রোধে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির সঙ্গেও দীর্ঘ সময় ধরে কথা হয়েছে। কিন্তু কোনো ফল হয়নি। ইয়াবা আসার গতি কমেনি। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু দুর্গম সীমান্ত এলাকা রয়েছে। সেখানে এক বিওপি (বর্ডার আউটপোস্ট) থেকে অন্য বিওপিতে হেঁটে যেতে দু’দিন সময় লেগে যায়। একমাত্র হেলিকপ্টার ছাড়া সেখানে পৌঁছানো সম্ভব নয়। এসব জায়গায় বিওপির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বিওপি আরও শক্তিশালী করতে বর্ডার রুট করার প্রচেষ্টা নিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে বসে যে রকম ফল পাওয়া গেছে, মিয়ানমারের ক্ষেত্রে সে রকম ঘটেনি। এ জন্য এবার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে এই প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেছি।

সমকাল :অভিযোগ আছে, অনেক ঘটনায় মাদকের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসাধু সদস্য ও কিছু রাজনৈতিক নেতা জড়িত। অভিযানে তাদের বিরুদ্ধে কোনো শৈথিল্য দেখানো হচ্ছে কি-না?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :মাদক ব্যবসায় সব শ্রেণি-পেশার লোক জড়িত হয়ে পড়েছে। সবাইকে কঠোর বার্তা দিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মাদকের সঙ্গে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা গেলেই তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমকাল :মাদকবিরোধী অভিযানে ‘ফিলিপাইন মডেল’ অনুসরণ করা হচ্ছে কি? সেখানে গত দুই বছরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কয়েক সহস্রাধিক মাদক-সংশ্নিষ্ট ব্যক্তি নিহত হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :ফিলিপাইন মডেল কেন হবে, আমরা বাংলাদেশ মডেল অনুসরণ করছি। নিরাপত্তা বাহিনী আইনবহির্ভূত কোনো কাজ করেনি বা করছে না। আইন অনুযায়ীই সব হচ্ছে।

সমকাল :বিএনপির পক্ষ থেকে মাদকবিরোধী অভিযানকে সমালোচনা করা হচ্ছে। নির্বাচনের বছরে এ অভিযান নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে। আপনার মন্তব্য কী?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :মাদকবিরোধী অভিযানের সঙ্গে নির্বাচনের বছরের সম্পর্ক কোথায়? দেশ, মেধা আর যুবশক্তিকে রক্ষা করতেই মাদকবিরোধী এ অভিযান। যুবসমাজকে রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে সরকার তা-ই করছে। বিএনপি কী চিন্তা করছে, সেটা তারাই জানে। অনেক আগেই তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে, জনগণের কাছে ধিকৃত হয়েছে। এ জন্য তারা মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে এ ধরনের কথা বলছে। অথচ অভিযান শুরুর পর থেকে হাজার হাজার ফোন পাচ্ছি- যারা বলছেন মাদকবিরোধীদের অভিযান একটি ভালো কাজ।

সমকাল :সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলার পর সব সংস্থা নড়েচড়ে বসে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের শুরুটা কি একটু দেরি হয়ে গেল না?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :এ অভিযান কিন্তু আগে থেকেই চলছিল। মাদক খুব ভয়ঙ্কর হলেও সহজেই পরিবহন করা যায়। এর ব্যবসা লাভজনকও। তাদের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা যাতে ধসে পড়ে, সে জন্য আমরা শুরু থেকেই কাজ করছি। এই মুহূর্তে আমাদের জেলখানায় থাকার ব্যবস্থা আছে ৩৫ হাজারের। অথচ জেলখানায় রয়েছে ৭৮ হাজারের বেশি বন্দি। ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দি জেলখানায় রয়েছে। এদের মধ্যে কিন্তু ৩০ শতাংশই মাদক মামলার গ্রেফতার আসামি।

সমকাল :মাদক মামলায় ৫০ শতাংশের বেশি আসামি জামিনে ছাড়া পাচ্ছে। কেন তাদের বিচারের মুখোমুখি করা যাচ্ছে না?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :দেখুন, মামলায় জামিন হচ্ছে, এটা যেমন সত্য, তেমনি এটাও সত্য, অনেকে সাক্ষ্য দিতে যাচ্ছেন না। মাদক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হতে শুরু করলে এ পরিস্থিতি বদলাবে। যারা বিনা দোষে সন্দেহমূলকভাবে কারাগারে আছে, তারাও তখন তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে।

সমকাল :কিছু ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে, ‘বন্দুকযুদ্ধে’র আগে-পরে পুলিশ অভিযুক্তের পরিবারের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছে। অভিযান ও অভিযান-পরবর্তী বিষয়গুলো যাতে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়ে থাকে, এ ব্যাপারে আপনাদের নির্দেশনা রয়েছে কি?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :দেখুন, নিরাপত্তা বাহিনী- সেটা পুলিশ বলুন আর র‌্যাব বলুন- যেই হোক, তারা যদি কোনো বেআইনি কাজে জড়ায়, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বার্তা সবাইকে সমানভাবে দিতে চাই, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

সমকাল :মাদকবিরোধী অভিযান কতদিন চলবে?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :কতদিন অভিযান চলবে সেটা বলা যাচ্ছে না। যে পর্যন্ত মাদক নিয়ন্ত্রণ একটা পর্যায়ে না আসবে, সে পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের মা-বাবা তথ্য দিয়ে তার ছেলেকে ধরিয়ে দিচ্ছেন- এ পর্যায় যখন আসবে, তখন মনে করব অভিযানের উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে।

সমকাল :ইয়াবার সঙ্গে এমপি আবদুর রহমান বদির নাম বারবার এসেছে। তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :দেখুন, বহু পত্র-পত্রিকায় তার নাম এসেছে, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তার নাম বলেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এমন কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ তার ব্যাপারে পাওয়া যায়নি, যা দিয়ে তাকে বিচারের বা শাস্তির মুখোমুখি করা যায়। চেষ্টা করার পরও তার বিরুদ্ধে ‘কংক্রিট’ কোনো প্রমাণ হাতে আসেনি।

সমকাল :আপনারা বলছেন, পাঁচটি সংস্থা সারাদেশের মাদক-সংশ্নিষ্টদের তালিকা তৈরি করেছে। তালিকা তৈরির সময় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে ফেঁসে না যায়- এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি?
http://brandbazaarbd.com/product-category/air-conditioner-air-cooler/carrier-air-conditioner/portable-carrier-air-conditioner/
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ পাঁচটি তালিকা করেছে। পাঁচটি তালিকায় যাদের নাম ‘কমন’ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে এখন অভিযান চলছে। যাকে ধরা হচ্ছে তাকে মোবাইল কোর্ট হোক আর রেগুলার মামলা হোক- বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।

সমকাল :বিএনপির অভিযোগ, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে কিছু বলবেন কি?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের যে কক্ষে তাকে রাখা হয়েছে, এর চেয়ে ভালো কক্ষ আমাদের কাছে নেই। কারাবিধি অনুযায়ী তার যা প্রাপ্য, সেটা তো তিনি পাচ্ছেন। তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। একটা দলের চেয়ারপারসন। সেই হিসেবে তাকে বিধি অনুযায়ী যত ধরনের সুযোগ দেওয়ার কথা তা দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য ফাতেমা নামের এক মেয়ে কারা অন্তরীণ রয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী এটা কিন্তু দেওয়ার নিয়ম নেই। তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও হয়েছে। যখন কারা চিকিৎসকরা প্রয়োজন মনে করছেন, তখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নিচ্ছেন। এমনকি তাকে যারা অতীতে চিকিৎসা দিতেন, তাদেরও দেখা করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। তাকে পোড়ামাকড়ের আক্রমণ করার প্রশ্নই আসে না। পোকামাকড় থাকলে কারারক্ষীরাও তো থাকতে পারত না।

সমকাল :এটি নির্বাচনের বছর। নির্বাচনের আগে-পরে ব্যাপক সহিংসতা মোকাবেলায় আগাম কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী :নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন সময়মতোই হবে। দেশের মানুষ সবাই নির্বাচনমুখী হয়ে আছে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হয়, সে জন্য সহায়তা দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি আছে। ইতিমধ্যে পুলিশ ও আনসারের জনবল বাড়ানো হয়েছে। তাদের সক্ষমতা ও লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো হয়েছে। তারা সময়মতো নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হবেন। ইসি যেভাবে পরিচালনা করবে, সেভাবেই চলবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment