‘নির্বাচনের মাঠে প্রতিপক্ষকে সরিয়ে আবারো ক্ষমতা দখল করতে খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছে সরকার’

 

মোস্তাফ কামরুল, ফটিকছড়ি থেকে:

ফটিকছড়ির নিজ গ্রামে সংবর্ধিত হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা কাদের গনি ,ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচনী মাঠ থেকে প্রতিপক্ষকে সরিয়ে আবারো ক্ষমতা দখলের অংশ হিসেবেই খালেদা জিয়াকে বন্দী রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের ফ্যাসিবাদী চেহারা উন্মোচিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ছাড়া বাংলাদেশের মাটিতে কোন নির্বাচন হতে দেবেনা এদেশের মানুষ।
আজ শুক্রবার বিকেলে ফটিকছড়ির ইসলামিয়া বাজারে লেলাং ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নির্বাচনে বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম ফটিকছড়ির নিজ গ্রামে সংবর্ধিত হন তিনি।
এ সময় তিনি অারো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ৯ বছরের শাসনামলে বেগম জিয়াকে বন্দী করে রাখা লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে। বিএনপি বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় গণতন্ত্র এনেছে এবং হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে। তিনি খালেদা জিয়াকে বন্দীর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে এক টাকাও দুর্নীতি হয়নি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কেউ এক টাকাও মেরে খাননি। পুরো টাকাই ব্যাংকে আছে। দুই কোটি টাকা এখন ছয়কোটি টাকা হয়েছে। এমন মিথ্যা মামলায় তিনবারের প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাজা হতে পারে না। জনগণ এ সাজা মেনে নেয়নি। দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে। বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। লুটের টাকা দিয়ে সরকারের লোকেরা বিদেশে বেগম পল্লী বানাচ্ছে। শেয়ার বাজার লুট হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে সরকার কিছুই করছে না।’http://brandbazaarbd.com/product-category/air-conditioner-air-cooler/carrier-air-conditioner/portable-carrier-air-conditioner/
তিনি অারো বলেন,  সরকারের ‘ভুল সিদ্ধান্ত, প্রতিশোধ পরায়ণতা ও প্রতিহিংসার’ কারণে খালেদা জিয়া ও বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী। খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে, আইন লঙ্ঘন করে, সংবিধান না মেনে নির্জন-পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দী করার কারণে সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন খালেদা জিয়া শুধু একজন ব্যক্তি নন তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জননন্দিত নেত্রী। তার জন্য দেশের মানুষ নীরবে কাঁদছে। ৭৩ বছরের একজন মানুষকে যিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তাকে নির্জন কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। শক্ত ও ছোট একটি বেডে তাকে থাকতে দিয়েছে। মাত্র ঊনচল্লিশ টাকা পঞ্চাশ পয়সার ইফতারি দেয়া হচ্ছে উনাকে।
সরকার জনগণের কাছে ধরা পড়ে গেছে। তারা খালেদা জিয়াকে বন্দী করে নির্বাচনের মাঠ থেকে প্রতিপক্ষকে সরিয়ে দিয়ে আবারও ক্ষমতা দখল করতে চায় সেটা জনগণ বুঝে গেছে।
তিনি বলেন, আগামী ছয়মাস বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সংকটপূর্ণ সময়। কারণ, সরকারের ভুল রাজনীতির কারণে এবং সর্বত্র দলীয়করণের ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ। অর্থনৈতিকভাবে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ গরিব মানুষ অসহায় জীবনযাপন করছেন। দেশে এখন প্রতিনিয়ত হত্যা, গুম, নির্যাতন আর দুর্নীতি হচ্ছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের পাশাপাশি ব্যাংক লুটপাট হচ্ছে। হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন লুটপাট-কেলেঙ্কারির শিকার মানুষ। উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্প গ্রামেগঞ্জে তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। গ্রামের অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য আনতে পারেনি। গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচার দলীয়করণের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সুশাসন এখন সুদূরপরাহত। এসব কারণে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নেই, সরকার জনবিচ্ছিন্ন। এখন জনগণ সোচ্চার হয়ে রাস্তায় নামার অপেক্ষায়।
বিএনপির এ নেতা বলেন, খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, জনগণের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুবারের বিরোধীদলীয় নেতা এবং ৭৫ বছর বয়সের এই নেত্রী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। দেশের মানুষ মনে করে, তার নামে মিথ্যা মামলা ও তথ্য দিয়ে অবিচার করা হয়েছে। মানসিকভাবে নির্যাতন করার জন্য পরিত্যক্ত, নির্জন কারাগারে জেল দেয়া হয়েছে।http://brandbazaarbd.com/product-category/air-conditioner-air-cooler/carrier-air-conditioner/portable-carrier-air-conditioner/
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সরকারের প্রতিহিংসার শিকার। এই মিথ্যা মামলা থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মুক্ত করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে হবে। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তিদের দিয়ে সরকার গঠন নিশ্চিত করতে হবে। এতে জনগণ তাদের জানমাল এবং সামাজিক নিরাপত্তা পাবে। দেশের বিভেদ-কলহ, হানাহানি, প্রতিহিংসা, প্রতিশোধের রাজনীতি বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, জিয়া এবং খালেদা জিয়ার হাত ধরেই বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এখন আবার গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এসেছে জিয়ার হাত ধরে। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক জিয়াউর রহমানের প্রচেষ্ঠায় বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। জিয়ার আমলেই লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে বিদেশে পাঠানো হয়েছিল। এখন ১৭০টি দেশে প্রায় ৯০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী কাজ করছে। গার্মেন্টস শ্রমিক এবং প্রবাসী শ্রমিকদের কষ্টে অর্জিত রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে ঘুড়িয়ে দিয়েছেন। সবুজ বিপ্লব জিয়াই করেছিলেন। তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে তিনিই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, উন্নয়ন, গণতন্ত্র এসবের সাথে জিয়া একাকার হয়ে গেছেন। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পক্ষান্তরে বাংলাদেশের সাথে ষড়যন্ত্র।
লেলাং ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক এজাহার মিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে লেলাং বিএনপি নেতা ডাঃ হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন লেলাং বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও উপজেলা বিএনপি নেতা সরোয়ার হোসেন, বক্তব্য রাখেন লেলাং বিএনপি নেতা হাজী মাহাবুল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, দাঁতমারা বিএনপি নেতা ইলিয়াছ, আজম, পৌর যুবদলের আহবায়ক সরোয়ার মফিজ, দুবাই যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির সিকদার, উত্তরজেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি মোর্শেদ হাজারী, যুগ্ন সম্পাদক ওমর ফারুক ডিউক প্রমুখ
উপস্থিত ছিলেন লেলাং বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিউল আলম মেম্বার, লেলাং বিএনপি নেতা আনোয়ার পাশা হানিফ মেম্বার, মো: নাছের, হাফিজ উদ্দীন হাসান, মো: ইউসুফ, রফিক মেম্বার উপজেলা যুবদল নেতা নাজিম উদ্দিন, আহসানুল করিম রাজন। উপজেলা ছাত্রদল নেতা মঈনুল্লা উজ্জ্বল, ওসমান তাহের সম্রাট, মুন্না, ফটকছড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ন আহবায়ক অলি উল্লাহ, সদস্য সচিব আল মামুন, সদস্য হাসান, রোমান, তারেক, রিজুয়ান, লেলাং ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মোরশেদ, কলিমুল্লাহ আসিক, মোহাম্মদ ইমন, মোহাম্মদ রাসেল, মোহাম্মদ সজিব, এম হোসাইন সহ স্থানীয়, উপজেলা ও জেলার নেতৃবৃন্দ।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment