সাভারের বিরুলিয়ায় ৪ শতাংশ জায়গা  দখল নিতে  মরিয়া হাউজিং কোম্পানী 

 

মোহাম্মদ আব্দুস সালাম(রুবেল)সাভার প্রতিনিধি
 সাভারের বিরুলিয়ার ইউনিয়ন  সাদুল্লাহপুরের মৈস্তাপাড়ায় ৪ শতাংশ জমির   ‘দক্ষিণা সিটি হাউজিং’ নামের  একটি কোম্পানী  একজন নিরীহ লোকের শেষ সম্বল ৪ শতক জমি দখলে নিতে মরীয়া হয়ে উঠেছেন। উল্লেখ্য, এই কোম্পানিটির  বিরুদ্ধে সরকারি জলাশয় দখন ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে  জায়গা দখলের বিস্তর অভিযোগ বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এসেছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, চারবছরে আগে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের সাদুল্লাহপুর মৈস্তা পাড়ায় বেগুনবাড়ি স্কুলের পাশে জনৈক নুরু মিয়া নামের এক ব্যক্তি ৪ শতাংশ জমি সাফ কবলা ক্রয় করেছিলেন। পরবর্তীতে গত জানুয়ারি মাসে ক্রয়কৃত নিজ দখলীয় ৪ শতাংশ জমিতে বাড়ির কাজ শুরু করেন তিনি। কাজ শুরুর প্রায় একমাস পরে দক্ষিনা সিটি নামের হাউজিং কোম্পানীটি গত ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ইং তারিখে ঐ জমির মালিকানা দাবি করে থানায় একটি  অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগটির তদন্তের দ্বায়িত্ব দেয়া হয় তরিকুল ইসলাম নামের বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এক পুলিশ উপ পরিদর্শককে। তিনি উভয়পক্ষকে নিয়ে কাগজপত্রাদি সহ পর্যালোচনায় বসেন। কিন্তু কেন জানি তিনি দখল এবং কাগজপত্রাদি সবকিছু ঠিক থাকার পরো কোন এক অদৃশ্য সংকেতে নুরু মিয়ার বিপক্ষে কথা বলা শুরু করেন।  বিবাদীর দলিলপত্র সবকিছু ঠিক থাকার পরও এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তিন দিন পরে জমির দলিলের চৌহদ্দি দেখে কাজের অনুমতি দেওয়া হবে। এই বলে তিনি কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।http://brandbazaarbd.com/product-category/air-conditioner-air-cooler/carrier-air-conditioner/portable-carrier-air-conditioner/
তিনদিন পরে দক্ষিনা সিটি হাউজিং কর্তৃপক্ষ  ২০০৮ সালের একটি দলিল মুলে ৪ শতাংশ জমি ক্রয়ের দাবি করাতে আবারও কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন সহকারি পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। দাবিকৃত দলিলটির নকল উঠানোর পর দেখা গেছে সেটা সম্পূর্ণ অন্য দাগের একটি ভূয়া দলিল। ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় ভুক্তভোগিরা পুনরায় বাড়ির নির্মান কাজ শুরু করে। পুনরায় হাউজিং এর সন্ত্রাসীরা এসে হট্রগোল করলে এলাকাবাসী তাদের অভিযোগকৃত জমির দলিল অনুযায়ী তাদের জায়গা পিছনে আগেই বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে জানালে দুইদিন পরে ১২ই মার্চ তারিখে তারা আদালতে পিটিশন মামলায় ১৪৫ ধারা দায়েরের আবেদন করে।
কিন্তু ১৩ মার্চ সকালবেলা আদালতের বিনা আদেশে জমিতে এসেই কাজ বন্ধ রাখতে বলে উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা। এসময় সে জানায় আদালতে নুরু মিয়া গং এর নামে ১৪৫ ধারা জারি হয়েছে , তাই কাজ  বন্ধ রাখতে হবে। এসময় তিনি  শ্রমিকদেরকে ভয় দেখিয়ে বলেছেন যে, কাজ বন্ধ না করলে আদালতের নির্দেশনানুযায়ী গুলি করা হবে। একথা শুনে নিরীহ শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে চলে যেতে বাধ্য হয়।  অথচ তখনো পর্যন্ত  আদালত ১৪৫ ধারার ব্যাপারে কোনো আদেশ দেন নাই!  আরও উল্লেখ্য,  ১৪৫ ধারা জারির দখলীয় প্রতিবেদন পাঠানো ও শুনানির তারিখ গত ১৩ই মে তারিখে ধার্য থাকলেও উক্ত এস, আই ইচ্ছকৃতভাবে যথাসময় প্রতিবেদন আদালতে না পাঠিয়ে কালক্ষেপন করেছেন। এই সুযোগে কৌশলে হাউজিং কোম্পানীর আইনজীবিগন বিজ্ঞ আাদালতের নিকট সময়ের আবেদন করায় পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয় দুই মাস পর অর্থ্যাৎ ২১ শে জুলাই, ২০ ১৮ ইং তারিখে!
তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক তরিকুলের মুঠোফোনে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কল রিসিভ করলেও এই ব্যাপারে কোনো কিছু জানাতে অস্বীকার করেন। বরং তিনি তাঁর নাম মুঠোফোনে ভুলে তারিকুল বলাতে জানান, ‘আপনি তো তারিকুলকে চাচ্ছেন, আমি তো তরিকুল’ এই বলেই কলটি কেটে দেন এবং এরপরে কয়েকবার তাঁর মুঠোফোনে কল করলেও তিনি আর রিসিভ করেন নাই।http://brandbazaarbd.com/product-category/air-conditioner-air-cooler/carrier-air-conditioner/portable-carrier-air-conditioner/
দক্ষিণা সিটির মালিক অবসর প্রাপ্ত লেঃ কর্ণেল আরিফুল আজিমের চারটি মুঠোফোন নাম্বারে পর্যায়ক্রমে কল করা হয় এই অভিযোগের ব্যাপারে জানার জন্য। দুইটি নাম্বারের কল গেলেও কেউ ধরে নাই। তবে বাকি দুইটির একটি থেকে একজন কল রিসিভ করে বলেন, এই নাম্বারটা আরিফুল সাহেবের কিন্তু তিনি এখন চীনে অবস্থান করছেন। এরপর সর্বশেষ নাম্বারটিতে কল করলে সেখানেও অণ্য একজন কল রিসিভ করে বলেন, ‘তিনি ব্যস্ত আছেন, আমি ওনার কোম্পানির  স্টেট অফিসার, আমাকে বলুন।’ তখন অভিযোগের ব্যাপারে জানালে তিনি বলেন, ‘নুরু মিয়ার কাছে যিনি জমি বিক্রী করেছিলেন চার বছর আগে তিনি একজন মহিলা এবং তিনি তাঁর একই জমি দুইবার বিক্রী করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর নুরু মিয়ার এই জমির ব্যাপারটি তো এখন আদালতে রয়েছে, তাই এটা নিয়ে এখন আর লেখালেখি করে কি হবে বলেন?’
সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান সুজনের মুঠোফোনে এই জমির  বিষয়ে বলেন আলীম মেম্বারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।
বিরুলিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল আলীমের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি  প্রয়োজনে ভুক্তভোগীকে সহযোগিতা করবেন বলে জানান । তিনি বলেন দুই পক্ষের এডভোকেট ও এলাকাবাসীকে নিয়ে বসে দলিল পত্র দেখে সমাধান করা হবে ।
আমাদের দেশে ভূমিদস্যুতা নতুন কিছু নয়  হাউজিং কোম্পানীর ।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment