সাভারের সিএন্ডবিতে অটোরিক্সা থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ

 

মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, সাভার প্রতিনিধি:

সাভারের ঢাকা আরিচা রোডের সংলগ্ন সিএন্ডবি এলাকায় অটোরিক্সা ও সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে । চাঁদা প্রদানকারী অটো-রিক্সা এবং সিএনজি চালক ও মালিকদের থেকেই এই অভিযোগ করেন ।

সরেজমিন গিয়ে অনুসন্ধানে জানা যানা যায় সিএন্ডবি থেকে কলমা হয়ে আশুলিয়া পর্যন্ত চলাচলকারী প্রায় ২০০ অটোরিক্সা এবং৩০টি সিএনজি প্রতিদিন চলাচল করে। জনৈক তারেক নামের এক নেতার নামে প্রতিদিন এই বাহনগুলি থেকে টাকা তোলা হয়। প্রতিটি অটো-রিক্সা থেকে ২০ টাকা করে এবং সিএনজি থেকে ৩০ টাকা করে সর্বমোট প্রতিদিন চাঁদা তোলেন সুমন ও শহিদুল নামের দুই ব্যক্তি মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় চার হাজার নয়শত টাকা (৪,৯০০)! এই বিপূল পরিমাণ টাকা শ্রেফ খেটে খাওয়া গরীব অটো-বাইক চালকদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে রাজনৈতিক এবং প্রভাবশালীদের কথা বলে ।

এই অভিযোগের ব্যাপারে তারেক নামের রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় পালিত লোকটির মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে টাকা তোলা হয় ঠিকই, তবে সেটা আমাকে দেয়া হয়না। এখানে এইসব অটো-বাইক এবং সিএনজি চালকদের ‘সিরিয়াল’ মেইনটেন করা এবং তাদের যে কোনো ঝই-ঝামেলা মিটানোর জণ্যই প্রতিটি অটো-বাইক থেকে প্রতিদিন দশ টাকা করে তোলা হয়। এখানে চারজন ‘লাইনম্যান’ এই কাজ করে, এজন্য তাদেরকে প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে দেয়া হয়।

তারেকের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, চারজন লাইনম্যানের প্রতিদিনের পারিশ্রমিক বাবদ ১২০০ টাকা দেবার পরেও যে অতিরিক্ত টাকাটা থাকে, সেটা কি আপনার কাছে যায়? এই প্রশ্নের উত্তরে তারেক কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থেকে বলেন, আসলে অতোগুলা অটো-বাইক নাই, আর টাকা মাত্র দশ করে ওঠানো হয়। তাই যা ওঠে সেটা চারজন লাইনম্যানের পিছনেই যায়।

এই ব্যাপারে সিএন্ডবি মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক সাব-ইন্সপেক্টর অরবিন্দের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এই চাঁদাবাজির ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। আমাদের সামনে কখনোই এ ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটে না।

অভিযোগের ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিনুল কাদেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন। এরকম কোনো ধরণের অভিযোগ আমাদের কাছে আসে নাই। তবে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment