ছাতক ও দোয়ারায় লিচু চাষে স্বাবলম্বী কয়েকহাজার পরিবার

হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক
(সুনামগঞ্জ) থেকে;
ছাতকে লিচুর গ্রাম নামে পরিচিত
মানিকপুর , গোদাবাড়ী, চানপুর,
কচুদাইড়, রাজারগাঁও, হাদা-চানপুর,
কুমারদানী, নওসাদ মিয়ার বাগানবাড়ি,
বড়গল্লা ও দোয়ারাবাজারের লামাসানিয়া,
পরশ্বেরীপুর, বীরসিংহ, টেংরাটিলা, ও
আলীপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় গাছের ডালে
ডালে রসালো লিচুর সমাহার। প্রতি দিন
ছাতক, নরসিংপুর, বালিউরা, বাংলা
বাজার ও দোয়ারা বাজারসহ অন্যান্য হাট-
বাজারে লিচু বিক্রি হয়ে থাকে। লাভজনক
লিচু চাষে জড়িয়ে থাকা এলাকার
কয়েকহাজার চাষি এখন স্বাবলম্বী

হয়েছেন। ছাতকে নোয়ারাই ইউপির
কয়েকটি গ্রামের বাড়িতে চোখ রাখলে
দেখা যায় গাছে গাছে ঝুলে থাকা লিচুর
অপরূপ দৃশ্য। প্রতি বছর ছাতক ও দোয়ারার
লিচু চাষিরা কয়েক কোটি টাকার লিচু
বিক্রি করে থাকেন। মানিকপুর ও
লামাসানিয়া গ্রামের প্রায় প্রতিটি
বাড়ির আঙিনায় ছোট-বড় লিচু বাগান
রয়েছে। প্রতিটি লিচু গাছে এখন
শোভা পাচ্ছে দেশি জাতের রসালো লিচু।
অনেক দিন থেকে মানিকপুর ও আশপাশের
গ্রামের টিলায় লিচু চাষাবাদ শুরু হয়। এ
দৃশ্য দেখার জন্য ছাতক-দোয়ারা তথা
সিলেট-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা
থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থী এসে ভিড় জমান।
লিচু বাগানগুলোতে বাদুড়ের উপদ্রব
ঠেকাতে ইতোমধ্যে সরকারিভাবে সোলার
সিস্টেম প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় লিচু
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা
বাগানভেদে ৫লক্ষ থেকে ২০লক্ষাধিক টাকা
আয় করবেন। রমজানে লিচুর চাহিদা
বেশি থাকবে বলে তারা আশাতীত মূল্য
পাওয়ার আশা করছেন। বর্তমানে বাজারে

প্রতি হাজার লিচু ১৫০০ থেকে ১৮০০
টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সরকারি
পৃষ্টপোষকতা পেলে তাদের আরো ব্যাপক
সাফল্য অর্জিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
##
হাবিবুর রহমান নাসির
ছাতক, সুনামগঞ্জ

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment