শায়েস্তাগঞ্জ প্রাণ কোম্পানীর বিষাক্ত বর্জ্যে অতিষ্ট ৪০ গ্রামের জনগণ।

রামেন্দ্র কিশোর মিত্র, শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরে স্থাপিত প্রাণ কোম্পানীর বিষাক্ত বর্জ্য অবাধে
সুতাং নদী দিয়ে নিস্কাশন হওয়ায় নদীর দুপাশের কমপক্ষে ৪০ গ্রামের জনগণ দিন
দিন অতিষ্ট হয়ে ওঠেছে। এছাড়াও বর্জ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য থাকার ফলে নদীর
মাছ মরে ভেসে উঠছে। পানি খেয়ে গবাদী পশু মারা যাচ্ছে। মাছ খেয়ে মানুষ
অসুস্থ হয়ে পড়ছে।দুর্গন্ধে নদীর পাড়ের মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
গ্রাম গুলোতে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক বিপর্যয়ের
পাশাপাশি উদ্বেগজনক মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। কলকারখানার দূষিত
বর্জ্য নদীতে ফেলার কারণে পানি কালো হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাজার হাজার
জেলেদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কৃষি কাজ চাষাবাদে নদীর পানি
ব্যবহারের কারণে ফসল নষ্ট হচ্ছে। হাসঁ-মোরগ মারা যাচ্ছে। যে জন্য
গ্রামগুলোতে হাসঁ-মোরগ পালন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। চর্মরোগ সহ মারাত্মক
স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান- আমরা এ বিষাক্ত
পরিবেশ থেকে মুক্তি চাই। এ জন্য প্রশাসন ও কোম্পানীর উধ্বর্তন
কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তারা।
ভোক্তভোগিরা জানান-শৈলজুড়া খাল সুতাং নদীর সঙ্গে সংযোগের কারণে
অন্যান্য খালসহ সুতাং নদীর পানি দূষিত ও দুর্গন্ধময় হয়ে পরিবেশের মারাত্মক
ক্ষতি করছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক
তোফাজ্জল সোহেল বলেন, কয়েক বছর ধরে কারখানা থেকে বিষাক্ত বর্জ্য সুতাং
নদীসহ খাল-জলাশয়ে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। ফলে একদিকে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের
পরিবেশ প্রতিবেশ ও কৃষি জমি, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের উপর
মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। তাই পরিবেশ সচেতন মানুষের পক্ষ থেকে দাবি,
দূষিতবর্জ্য নিস্কাশন রোধে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক এবং
একই সঙ্গে সুতাং নদী পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণের ও দাবি জানান।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment