সুনামগঞ্জে  দুই শিশুকে নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল,থানায় অভিযোগ

মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি,জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরে চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শারীরিক  নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের  সভাপতি সুন্দর আলীর ছেলে শানুর মিয়া ও জামায়াত নেতা আবুল কাশেম এর বিরুদ্ধে নির্যাতনের  অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর পিতা সফিক আলী বাদী হয়ে বুধবার(১৩ই জুন) ১১জনের নাম উল্লেখ পূর্বক জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত এজাহারে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরো ২৫/৩০ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানগেছে।
নির্যাতনের শিকার শিশুদ্বয়ের পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত  বাগময়না গ্রাম নিবাসী এখলাছুর রহমানের ছেলে জামায়াত নেতা আবুল কাশেম ও একই গ্রাম নিবাসী রানীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সুন্দর আলীর ছেলে শানুর মিয়া বিগত ৪ঠা জুন রানীগঞ্জ বাজারে চুরির সাথে জড়িত থাকার মিথ্যে অভিযোগ এনে মোঃ সফিক আলীর ছেলে সুলেমান মিয়া (১২) ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে লেচু মিয়া (১০) কে বাড়ি থেকে ডেকে এনে শারিরিক নির্যাতন চালায়। পরদিন ৫ই জুন জগন্নাথপুর থানায় তাদেরকে হস্তান্তর করলে পুলিশ কোন অভিযোগ না থাকায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়। তিনি ছেলের চিকিৎসা শেষে গতকাল ন্যায় বিচার চেয়ে থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।
নির্যাতিত শিশুর পিতা রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের সফিক মিয়া জানান, ছেলের চিকিৎসা ও ঘটনার পরপর প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী না থাকায় প্রভাবাশালী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে দেরি হয়। এখন ভিডিও ফুটেজ পেয়ে ছেলেকে চিকিৎসা করিয়ে আইনের আশ্রয় নিলাম।
এ ব্যাপারে রানীগঞ্জ বাজার তদারক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিঠুর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে জানান,রানাীগঞ্জ বাজারে ৪ঠা জুন “ফ্যামেলি শপ” নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটে। দোকান মালিক সাজু মিয়া কাউকে চোর সনাক্ত করেননি। দুই শিশুর বিরুদ্ধে সুনিদিষ্ট চুরির অভিযোগ নেই।
জগন্নাথপুর থানার ওসি হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন,রানীগঞ্জে দুই শিশু নির্যাতনের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment