কোটা সংস্কার আন্দোলন: ছাত্রলীগের হামলায় রাবিতে আহত ১৫

আবু বকর অন্তু,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কোটা-সংস্কার আন্দোলনকারীদের রুখতে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করেছে রাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দফায় দফায় রোববার সকাল সাড়ে ১০ এবং সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকে দমানোর জন্য আক্রমন চালানো হয় পরিকল্পিতভাবে। এতে আহত হয় ১০-১৫ জন আন্দোলকারী। ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয় এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে দলীয় প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এর আগে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির নির্দেশে রাবি শাখার কোটা-সংস্কার আন্দোলনকারীরা রোববার সকালে মানববন্ধনের আহ্বান করেন। সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় গ্রন্থাগারের সামনে জোড় হতে থাকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা। সুত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পর রাবি শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে সকালে পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমন চালাই নেতাকর্মীরা। রাবি শাখা কমিটির আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফ বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থী আমরা অনেক দিন থেকেসুষ্ঠভাবে আন্দোলন করে আসছি। দেশে মেধাবীদের সুযোগ করে দিতে শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনের দাবিকে মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা দেয়া দুই মাস পার হলেও প্রজ্ঞাপন জারির জন্য দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি হয়নি। আমাদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা জানায়। প্রজ্ঞাপন নিয়েপ্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার দাবিতে শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনের ওপর ছাত্রলীগের হামলা জাতির

জন্য সত্যিই কলঙ্কজনক। তবে হামলা কলে আমাদের আন্দোলন দমানো যাবে না। এবিষয়ে রাবি শাখা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম মুবিন বলেন, ‘ রাবি শাখা কমিটির পক্ষ থেকে ঢাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা প্রতিবাদ এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হামলা কিংবা হুমকি দিয়ে আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন দমানো যাবে না।’ এবিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ফসলাল আহমেদ রুনু বলেন, প্রতিবার নির্বাচনের সময় আসলে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেবিশৃঙ্খল সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ যদি
এই রকমের বিশৃঙ্খল করার চেষ্টা চালাই তাদের এভাবেই প্রতিহত করা হবে। আমরা দেখেছি এই কোটা-সংস্কার আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন খারাপ মন্তব্য করেছে তার পেক্ষিতে এই আক্রমন চালায় আমরা। এদিকে ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান সকল ধরনের প্রদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিবাদ এবং কোটা সংস্কারে পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণাকে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবিতে এই কর্মসূচী ডাকা হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment