জগন্নাথপুরে ১৭দিনেও সংস্কার হয়নি জনগুরুত্বপুর্ণ রাস্তা: জনমনে ক্ষোভ

মোঃ সুজাত আলী,জগন্নাথপুর থেকে:

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ বাজারের দক্ষিণপাড়-রৌয়াইল বাজারের জনগুরুত্বপুর্ন রাস্তার যান চলাচল বন্ধ। ১৭দিনেও রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি জনমনে ক্ষোভের শেষ নেই।গুরুত্বপুর্ন রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ কষ্ট করে প্রতিদিন চলাচল করছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি কুশিয়ারা নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গত (১৪ জুন) বৃহ:বার রাতে নোয়াগাঁও নোয়াপাড়া গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ছত্তার মিয়ার বাড়ির পাশের রাস্তায় পুরাতন সুরঙ্গ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে এক সময় পানির  রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। রাস্তা ভাঙ্গা পর দুটি বাজার সহ কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। রানীগঞ্জ বাজার,রৌয়াইল বাজার,বালিশ্রী,আলমপুর,নোয়াগাঁও,জয়নগর, কামড়াখাই,হিলালপুর, মেঘেরকান্দি সহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়া অসহায় হয়ে
পড়েছেন।অত্র অঞ্চলের মানুষজন এ রাস্তায় দিয়ে চলাচল করতে পারছেন না জীবনে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছেন।রাস্তা ভাঙ্গার সাথে সাথে স্থানীয় মেম্বার মো.বজলু মিয়া বাঁশ দিয়ে আড় তৈরী করে বস্তা দিয়ে পানি আটকানো চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে নোয়াগাঁও গ্রামের ফুলকাছ মিয়া বলেন,আমরা দেখেছি এ রাস্তায় ছোট একটি পাইপ ছিল।এ পাইপ দিয়ে
পানি চলাচল করতো।যদি পাইপটি আগে থেকে বন্ধ থাকতো তাহলে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হত না। আমাদের কষ্ট করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা আরো জানান,আমরা আগে থেকে জানতাম এখানের পাইপের জন্য আমাদের রাস্তা ভেঙ্গে যাবে কিন্ত বার বার নিষেধ করার পরও পাইপটির মুখ বন্ধ করা হয় নাই।ছোট একটি পাইপের জন্য আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। জরুরী ভিত্তিতে এ রাস্তাটি সংস্কার করানো জন্য স্থানীয় মেম্বার,চেয়ারম্যান সহ সকলের কাছে অনুরোধ করছি।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মো.গোলজার মিয়া জানান,রাস্তাটিতে পাইপ ছিল না। পানির তোড়ে রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। আমরা আমাদের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। আশাকরি রাস্তাটি সংস্কার করতে পারবো।

এ ব্যাপারে মেম্বার মো.বজলু মিয়া বলেন,গত বছর এভাবে বালিশ্রী গ্রামের রাস্তা ভেঙ্গে গিয়েছিল আমার পকেটের টাকা খরচ করে মেরামত করি কিন্তু আমার ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা থেকে কোন প্রকার অনুদান দেওয়া হয় নাই।এ ভাঙ্গাতে কোন ভরসায় কাজ করাবো। আমি আমার উর্ব্ধতন কতৃর্পক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি।এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার আশ^াস প্রদান
করেন নাই। এ ব্যাপারে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ছত্তার মিয়া বলেন,এ রাস্তায় এখন আর পাইপ নাই। সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলামের সময়ে ছোট পাইপ দিয়েছিলন পানি চলাচল করার জন্য এখন আর এ পাইপ নাই। মানুষ না জেনে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে।আমি চেষ্টা করছি রাস্তাটি মেরামত করার জন্য সকলের সহযোগিতা চাই। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুরে উপজেলা এলজিইডির ইঞ্চিনিয়ার মো.গোলাম সারোয়ারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাস্তার ভাঙ্গার ব্যাপারে আমাকে বলা হয়েছে।এখনতো কাজ করানো মত কোন সুযোগ নাই।আমরা চেষ্টা করছি স্থানীয়ভাবে একটি বরাদ্ধ দিয়ে কাজ করানোর।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment