জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ বাজারের সমস্যার কথা বার বার বলার পরও সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা…বাজারবাসী

মোঃ সুজাত আলী,জগন্নাথপুর থেকে::

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতি বিজরিত ঐতিহ্যবাহী প্রাচিন রানীগঞ্জ বাজার যেন তার পুরনো ইতিহাস থেকে সরে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে ক্রেতা হারিয়ে বাজার শূন্য হয়ে সময় কাটানো আড্ডার বাজারের পরিনত হচ্ছে। বিভিন্ন সময় অনলাইন পোর্টাল ও জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকায় নিউজ প্রচারের পরও যেন কাহারও চোখে পরছেনা।
বাজার বাসীর সাথে আলাপ করে জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর নাব্যতা হারানো পর প্রত্যেক বছর বর্ষা মৌসুমে কাছা মাল হাটা থেকে শুরু করে বাজারের নিন্মা ল পানিতে সয়লাব হয়ে যাও।সমস্যা পড়ের বাজারের আসা ক্রেতা সহ বাজারের ব্যবসায়ীগন বিশেষ করে গত ঈদুল ফিতরে দোকানের সামনে পানি থাকায় ব্যবসায়ীদের প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। বাজার ব্যবসায়ী অনেকেই জানান, অপেক্ষায়-প্রতিক্ষায় ছিলো বছরের পর বছর এবং নাগরিক অধিকার বি ত জনগণ বলা যায় রানীগঞ্জ বাজারের মানুষদের গত বছর কিছু কাজ হয়েছে। পুরো জায়গা মাটি ভরাট না করায় সমস্যা থেকে যায়। ঐতিহ্যবাহী রানীগঞ্জ বাজার এখন অনেক দূ:খে ভাসমান,অশেষ মনীষা,পন্ডিত,সমাজসের্বী,রাজনীতিবিদ,প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সম্ভাবনা রাজনীতিতে পরিচ্ছন্ন পবিবেশ এবং সম্প্রীতির অ ল, প্রবাসীদের রেমিটেন্সে আহরনের অ লের মানুষ কষ্ট করে যাচ্ছে। বিশেষ করে মশার বাচ্চা উৎপাদনের স্থান হিসেবে কাছা মাল হাটার গলি পরিচিত হচ্ছে। মানুষের জন্য ক্ষতিকর মশা জন্ম নিয়ে প্রতিদিন বাজার ব্যবসায়ী সহ ক্রেতাদের রোগের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। কাচামাল হাটের বর্জ্যরে গন্ধে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। বাজারের মালা মাল রাখার স্থান নিচু থাকায় উচু করেও যেন বর্ষা মৌসুমে সমস্যান সমাধান হচ্ছেনা। দৈন্যদশা বাজারবাসীকে অসহনীয় দুর্ভোগে ফেলে রেখেছে দীর্ঘ দিন থেকে। বাজারবাসী জানান,সদিচ্ছা থাকলে একজন জনপ্রতিনিধি তা সমাধান করতে পারতেন এটা বাজারবাসী বিশ্বাস করেন। বিশ্বাসটা সত্যি কিনা তা বিচারের দায়ীত্ব আমাদের না তবে বাজারের উন্নয়ন বাজারের দিকে তাকালেই বুঝা যায়। আমাদের বাজারবাসীর দাবী প্রথমেই একটি নান্দনিক পরিবেশ বান্ধব সৃজনশীল বাজার পরিকল্পনা নেয়া যেখানে বাজারের স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রাজ্ঞদের মতামত গুলো শুনা এবং বিবেচনার সুযোগটি থাকা খুবই জরুরী। যাতে করে অদূর ভবিষ্যতে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলেও পরিকল্পিত কাজের একটা দৃশ্যমান ধারাবাহিকতা বজায় থাকার মতো দূরপ্রসারী মহৎ কাজটির শক্ত ভীত রচিত হতে পারে।
অতীতে অনেক ছোট কাজই ক্ষমতার দ্বন্দ এবং ব্যক্তিগত সমস্যা আমরা বি ত হয়েছি। বলা যায়,বাজারবাসী নিয়ত একটা অসহনীয় সমস্যার জালে আটকা পড়ে আছে।লেবু তিতা কথার চর্চিত রাজনীতি ও চিন্তা থেকে নেতাদের বেরিয়ে বাজার বাসীর দূ:খ গুলোকে আমলে নিতে হবে। বাজার দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, আপনারা মাছবাজার ঘুরে ভোক্তজগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ বাজারের সমস্যার কথা বার বার বলার পরও সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেভোগী ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণ সাথে আলাপ করে তাদের দূ:খ ক্ষোভ এর কথা সরাসরি শুনেন। অন্তত বিগত কয়েকটি দিনে মাছ ও শাকশবজি পচে-গলে একাকার হওয়া বিশ্রি দুগন্ধযুক্ত পানি আমাদের পা স্পর্শ করেছে। আমরা জানি গণমানুষের দূ:খ কষ্ট বুঝা এবং যথা সম্ভব তাদের সমস্যা উত্তরণে সবসময় সাহায্যে থাকবেন।বিগত সময়ের অন্যতম একটি পরিচয় হলো-আমরা উজানের অর্থাৎ শুকনো,পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং প্রাকৃতিক সুন্দর্যমন্ডিত অ লের মানুষ। আমরা যারা রিকসা, মোটরসাইকেল অথবা অন্য বাহনে প্রতিদিন বাজার প্রদক্ষিণ করি,তাদের পায়ে বিশ্রিগন্ধের পচা গলে যাওয়া আবর্জনা যুক্ত পানি হয়তো লাগেনা। স্বচ্ছল শ্রেনী প্রতিদিন নতুন পোশাক গায়ে দিয়ে বাজারে আসা যাওয়া করা মানুষের অভাব নেই। তাদের জন্যে বিষয়টি এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতোটা একজন খেটে খাওয়া ও সাধারণ মানুষ এর জন্য। যারা বৃষ্টি হলেই মোঠফোনের ক্যামেরায় ছবি তুলে স্যোসাল মিডিয়ায় আপলোড করে আলোচনা-সমালোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন,তাদের কথা এইমূহুর্তে আমরা ভাবছিনা। আমাদের ভাবনায় পুরনো ঐতিহ্য গুলো ভাসছে অর্থাৎ যে ক্রেতাগন তার ছোট সন্তান বা স্বজনদের নিয়ে নিরুপায় অথবা প্রয়োজনে কাঁচাবাজার, মাছবাজার ইত্যাদিতে আসে এবং পায়ে হেটে বাজার ঘুরে তাকে সদাইপাতি করতে হয়,তার জন্য এটা অত্যন্ত অমানবিক কষ্টের এবং কাদাজলে ভেজে বাড়ী যাওয়া অনেকটা লজ্জারও বটে এবং এরাই এখন রাস্তায় ভোক্তভোগি সাধারন জনগণ। এদেরই বিরাট একটা অংশ পরিবর্তনের আশায় রয়েছে।
জলাবদ্ধতার থেকে বাজারের ব্যবসায়ী হাজী মকবুল হোসেন, হাজী চাঁন মিয়া,ইসলাম উদ্দিন, বেনু ভুষন রায়, মহিতোষ রায়,নিবারন রায়,হাজী ছত্তার মিয়া,বিষœ বাবু,কামাল উদ্দিন,কলিম উদ্দিন,নজরুল ইসলাম,অসিত রায়,চন্দন রায়, লিলু মিয়া,মো.জিয়াউর রহমান, বশর মিয়া,জুলহাস মিয়া,আরজু মিয়া,কিতাব মিয়া,আলফু মিয়া,সাজন মিয়া,রাসেল মিয়া,বিপুল দাশ,কালাম মিয়া,ওয়াকিব মিয়া,লিকছন মিয়া,জাহিদুল ইসলাম,রবি দাশ,তকবুর আলী, ঠাকুর রায়,ইরেশ রায়, আশিক দাশ,মুসলিম মিয়া,মজিদ মিয়া,সেলিম মিয়া সহ আরো অনেকে নিজের উদ্যোগে বাজারের সামনে বাঁধ তৈরী প্রত্যেক দিন দুই বার করে পানি সেচ দিয়ে কাচামাল হাটের পানি কমিয়ে রাখছেন। ভুক্তভোগি বাজার ব্যাবসায়ীদের দাবী যত দ্রুত সম্ভব বাজারের কথা বিবেচনা করে কাচামাল হাটের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
এব্যাপারে জানতে রানীগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ থেকে একটি বরাদ্ধ পেয়েছি।বাজার উন্নয়নে ড্রেইন ও কাচামাল হাটার কাজ করানো হবে। এখনো বলা যাচ্ছেনা কোন দিন কাজ শুরু করতে পারবো।আগামী রবিবার অফিসের সময়ে বলা যাবে কোন দিন কাজ শুরু করতে পারবো।##

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment