বাগেরহাট-৪ আসনে- প্রবীন নয়, নবীন নেতৃত্বের দাবী তৃনমুলের

আবু হানিফ, বাগেরহাট থেকে:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীর তালিকা প্রায় চুড়ান্ত হতে যাচ্ছে। দলীয় পর্যাবেক্ষন এবং বিভিন্ন জরিপে গ্রহণ যোগ্য ব্যক্তিদের বেছে নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দলীয় পদে থেকে নানা কারনে বিতর্কিত হয়েছেন কিংবা সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছেন এমন ব্যক্তিরা দলীয় মনোনয়ন হতে বঞ্চিত হতে পারেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানাগেছে। তবে শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় বাগেরহাট-৪ আসন। সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় এ আসনটির অবস্থান। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদকে সামনে রেখে সম্প্রতি ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের একাধিক নেতার পদচারনায় ধীরে ধীরে মুখরিত হয়ে উঠছে এ আসনটি। বলা যায় রাজনৈতিক মাঠ দখলে রাখতেই অনেকটা ব্যস্ত হয়ে উঠছেন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ অঞ্চলের নেতারা। ১৯৭৩ সালে এ আসনটিতে সর্বপ্রথম নির্বাচিত হন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ব্যক্তি মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা শেখ আব্দুল আজিজ। পরে ১৯৯৬ সালে এ আসন থেকে আওয়ামীলীগের পক্ষে জয়লাভ করেন বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন। তবে এ আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রতিযোগীতায় শক্ত প্রতিদন্দীতার মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তার। এছাড়া ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর শরণখোলা- মোড়েলগঞ্জের দলীয় অধিকাংশ নেতাকর্মীদের সাথে তার অনেকটা বিভেদ দেখা দেয়। দল ক্ষমতায় থাকলেও দু-উপজেলার কয়েক হাজার ত্যাগী নেতাকর্মী মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেন। কিন্তু জামাত বিএনপি সংগঠনের সুবিধাবাদীরা সুকৌশলে হাইব্রিড আওয়ামীলীগ সেজে লুটপাট অব্যাহত রেখেছে। শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জের ২০ ইউনিয়নের দলীয় নেতাকর্মীসহ তৃনমুলের জনসাধারণ আগামী নির্বাচনে এ আসনটির প্রার্থী পরিবর্তন প্রত্যশা করেন। তাদের মতে এ আসনটির উন্নয়নের স্বার্থে প্রবীনদের চেয়ে নবীনদেরকেই অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। তাহলে দলীয় বিভেদ দুর হতে পারে। তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে শরণখোলা মোড়েলগঞ্জের আসনটিতে এ অঞ্চলের কৃতি সন্তান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আলহাজ্ব এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগকে নৌকার কান্ডারী হিসাবে আশা করছেন। দুই উপজেলার দলীয় অধিকাংশ নেতাকর্মীদের মতে, সোহাগ ইতোমধ্যেই শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করে জনসাধারণের আস্থা অর্জন করেছেন। শরণখোলা মোড়েলগঞ্জ এর দুর্দিনের ত্যাগি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল প্রকার উন্নয়নের চিত্র তৃনমুলের জনসাধরনের কাছে তুলে ধরেছেন। তাদের আকাঙ্খা বাগেরহাট-৪ আসনে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রবীনদের নয়, নবীনদের হাতেই যেন তুলে দেয় বঙ্গবন্ধুর সোনার তরী। দু-উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন নির্বাচনী আমেজ বইছে। কে পাচ্ছেন কাঙ্খিত মনোনয়ন, এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। তবে অল্পদিনের প্রচারনায় শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার জনসাধারনের কাছে অনেকটা জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেছেন সাবেক এই ছাত্র নেতা। একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলহাজ্ব এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ এক সাক্ষাতকারে বলেন, দেশ ও জনগনের উন্নয়ন করতে চাইলে মনোনয়ন নয়, দলের প্রতি ত্যাগ, সদিচ্ছা, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে দলীয় সকল বিভেদ ভুলে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হলে বিজয় নিশ্চিত করা সম্ভব। তবে প্রধানমন্ত্রীই সিদ্ধান্ত নিবেন কাকে মনোনয়ন দিলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment