এসআই তাহেরের নিরহ লোকদের ফাঁসানো ও মাদক ব্যবসার চক্র

বনানী থানার এসআই আবু তাহের ভুঁইয়া। পাহাড় সমান অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। বিনাদোষে নিরহ লোকদের ফাঁসানো ও মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি কড়াইল বিট ইনচার্জ। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি ‘ম্যানেজ’ হয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন একাধিক মাদকসেবী এবং এলাকার সাধারণ মানুষ। ইয়াবা, গাঁজাসহ বিক্রেতা ও ক্রেতা ধরার পর ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। পয়েন্ট, প্রমোশন পেতে তার স্বার্থের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহারে সীমালঙ্ঘন করেছেন তিনি।

বনানী এলাকার বাসিন্দা এক ভুক্তভোগী জানান, এসআই তাহের ও এসআই ওমর ফারুক কনস্টেবল সহিদুলকে সাথে নিয়ে সাদা পোশাকে টিএণ্ডটি মাঠ, করাইল, ওয়ারলেস গেট ও টিএণ্ডটি কোলোনীতে ইয়াবা তল্লাশীর নামে নিজেদের পকেট থেকে ইয়াবা দিয়ে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এসআই তাহের ও এএসআই ওমর ফারুক তাদের নিজস্ব সোর্সদ্বারা বনানী থানার আওতাধীন এলাকাগুলোতে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এছাড়া নিজেদের পয়েন্ট প্রমোশন পেতে নিরহ মানুষকে গ্রেফতার করে মামলা দিচ্ছেন।

 

বনানী থানা এলাকায় সরেজমিন অনুসন্ধানে ক’জন মাদক ব্যবসায়ীর কথা উঠে এসেছে। এর মধ্যে অন্যতম  টিএণ্ডটি মাঠের পাশে গোডাউন বস্তিতে পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত শহীদ ও তার ভাগ্নে হৃদয় ইয়াবার বড় বিক্রেতা। গোডাউন বস্তির সিলেট হোটেলের পাশে তাদের ঘরে বসেই তারা ইয়াবা বিক্রি করে।

মহাখালী ওয়্যারলেস টিএন্ডটি পূর্ব কলোনীতে আব্দুর রহমান মাসুম ওরফে মোল্লা মাসুম অএ এলাকার ইয়াবার অন্যতম ডিলার। টিএন্ডটি গার্লস স্কুল রোডে মহান স্টুডিও সংলগ্ন নিজ বাড়িতে বসে খুব কৌশলে ইয়াবা ও গাজার ব্যবসা করেন বনানী থানা সেচ্ছাসেবক দল নেতা সায়েম। তিনি করাইল বস্তির চিন্হিত চাঁদাবাজ। টিবি গেট এলাকায় পুলিশ সোর্স রকি। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা এসআই তাহেরকে

ম্যানেজ করে মাদক ব্যবসা করেন বলে জানা যায়।

 

মহাখালীর হাজাড়িবাড়ি দাদা হোটেলের পেছনে এলাকার সবচেয়ে বড় ইয়াবা স্পট আব্দুল আলীর ছেলে শরীফ ওরফে পাগলা শরীফের মাদক স্পট। ১২জুন তিনি মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন। সুএ জানায়, শরীফ বনানী থানার এএসআই ওমর ফারুক ও এসআই তাহেরের শেল্টারে মাদক ব্যবসা করছিল।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment