মদনে বয়স গোপন রেখে চাকুরীতে যোগদানের অভিযোগ

মদন(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শামছুল আলমের বিরুদ্ধে চাকুরীতে যোগদানের সময় বয়স গোপন করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়,পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ শামছুল আলম গত ১ জানুয়ারী ১৯৮৩ ইং তারিখে উক্ত প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগদান করেন। যোগদান কালে দেখা যায় সরকারি বিধি মোতাবেক ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ার আগেই তিনি যোগদান করেন। উনার প্রকৃত জন্ম তারিখ ৬ মার্চ ১৯৬৫ ইং, ফলে বয়স দাঁড়ায় ১৭ বছর ৯ মাস ২৫দিন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, মোঃ শামছুল আলম বিদ্যালয়ের পাশের গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও তিনি বসবাস করেন উপজেলা সদরে। উপজেলা সদর থেকে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। আসলেও প্রথম শিফটের সময় শেষ করে আসেন। শ্রেণী কক্ষে গেলেও তিনি অমনযোগী থাকেন। এমনকি পাঠদানের সময় চেয়ারে বসে ঘুমান। অভিযোগকারী মোঃ রহুল আমিন বলেন,সহকারি শিক্ষক সামছুল আলম সরকারি বিধিমোতাবেক চাকুরীতে যোগদান করেননি। তিনি ক্ষমতার দাপটে নিয়মিত বিদ্যালয়ে না গিয়েও পুরো মাসের বেতন উত্তোলন করছেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে এদিকে দ্রুত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি। বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎশাহী রিপন মিয়া জানান, সহকারী শিক্ষক মোঃ শামছুল আলম বয়স গোপন করে যে চাকুরীতে যোগদান করেছেন তা আমার জানা নেই। যদি এমন করে থাকেন তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক। তা ছাড়া তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। আসলেও শ্রেণী কক্ষে অমনোযোগী থাকেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ শামছুল আলম জানান, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের ক্ষেত্রে বয়সের কোন বিধান ছিল না। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। অভিযোগকারীর সাথে আমার পূর্বশত্রুতা রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকিয়া আক্তার জানান, আমি সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক হিসাবে উক্ত বিদ্যালয়ে কাজে যোগদান করেছি। এ সময় কালে সহকারি শিক্ষক মোঃ সামছুল আলম নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসছেন। তবে বয়সের ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্তাপন করা হয়েছে সে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ রহিছ উদ্দিন জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি আমি জেনেছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে এ বিষয়ে একটি মিটিং করব এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত করব। তবে নিয়োগের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন বলে তিনি আশাবাদী। শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার সূত্রধর জানান, এ ব্যাপারে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment