মাহবুবুর রহমান টিপু,দোহার(ঢাকা)প্রতিনিধি:
ঢাকার নবাবগঞ্জে ছিনতাই সংগঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার ভোরে নয়নশ্রী ইউনিয়নের রাহুতহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময়ে ছিনতাইকারী দল ৬ জনকে কুপিয়ে আহত করে নগদ প্রায় ষাট হাজার টাকা ও এক ভরি ওজনের স্বর্ণাংকার এবং ৪টি মোবাইল ফোন লুটে নিয়ে যায়। আহতরা হলেন, শৈল্যা গ্রামের মৃত বিল্লাল মোল্লার ছেলে খোকন মোল্লা (৬০) তার স্ত্রী রাহেলা বেগম (৩৫), ছেলে রায়হান মোল্লা (১৬), তার ভাই নাদিম মোল্লা (৪৫), বোন মনোয়ারা বেগম (৫০), ইজিবাইক চালক রাজু (৩০)। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,প্রত্যক্ষদর্শী আহত নাদিম মোল্লা জানান, আমার ভাই খোকন মোল্লা একজন হার্টের রোগী। সে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিদেশে থাকেন। অসুস্থ থাকার ফলে সে দেশে এসেছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার অবস্থা আসঙ্কা জনক হয়ে পরে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নেই তাকে ঢাকা নিয়ে যাবো। যেহেতু রাত গভীর আর এসময় প্রাইভেট কার ও পাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা ভোরের দিকে একটা অটোরিকশা করে বান্দুরা যাবো আর সেখান থেকে গাড়ী ভারা করে ঢাকা যাবো এমন সিদ্ধান্ত নিই। অবস্থা গুরুতর দেখে রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে আমরা রওনা হই। তিনি আরো বলেন, রাহুত হাটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আসার পর দেখতে পাই দুইটা কলাগাছ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সেজন্য আমি গাড়ী থেকে নেমে যখনই কলা গাছগুলি সড়াতে যাবো রাস্তার পাশে লুকিয়ে থাকা ৭-৮ জন মুখোশধারী লোক আমার উপর আক্রমন করে এবং চাপাটি দিয়ে হাতে কুপ দেয়। আর গাড়িতে থাকা আমার বোন, ভাবি, ভাইকে চাপাটি দিয়ে কুপিয়ে নগত ৬০ হাজার টাকা, আমার বোন ও ভাবির গলার চেইন, কানের দুল (প্রায় এক ভরি)এবং ৪টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আমরা আহত অবস্থায় বেসরকারী হাসপাতাল বান্দুরা মুক্তি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই এবং আশঙ্কা জনক অবস্থায় ২জনকে ঢাকা পাঠানো হয়। আমরা এই ছিনতাইয়ের বিচার চাই। এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। সকালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। খুব শ্রীঘ্রই ছিনতাই কারীদেরকে ধরা হবে। আর এব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। দোহার,ঢাকা।