দোহারে কলেজ শিক্ষার্থীকে লাঞ্চিত করায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল।

 মাহবুবুর রহমান টিপু,দোহার( ঢাকা)প্রতিনিধি:

ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া কলেজের পাচঁ শিক্ষার্থীকে মারধর ও লাঞ্চিত করার ঘটনায় দোষী পুলিশ কর্মকর্তাকে অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ করেছে জয়পাড়া বিশ^বিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগ। জানা যায়,উপজেলার জয়পাড়া বিশ^বিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের একাদশ শ্রেণীর পাচঁ শিক্ষার্থীকে মারধর করার অপরাধে ওসি(তদন্ত মো.ইয়াসিন মুন্সির অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জয়পাড়া কলেজ ছাত্রলীগ । বিক্ষোভ মিছিলটি কলেজ থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদের ভিতর ঘুরে পূনরায় কলেজে এসে শেষ হয়। এ ঘটনায় গোটা কলেজ ক্যাম্পাসে আতংক ছড়িয়ে পড়লে কলেজের সাধারন শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে বের হয়ে যায়। কলেজের একাদশ শ্রেণীর ১ম বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র রাহিদুল ইসলাম সাগর,ইন্দ্রজিৎ মনি, মিশর খন্দকার,মোঃ আকাশ ও মোঃ রাসেল মঙ্গলবার বেলা পোনে বারটার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের পাশে দাড়িয়ে ছিল। এসময় দোহার থানার ওসি ( তদন্ত) ইয়াসিন মুন্সি সেখানে উপস্তিত হয়ে শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে চাইলে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ওসি ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের পাঁচ জনকে ধাক্কা মেরে তাদের কলেজের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়।এ ঘটনার কিছুক্ষন পরে কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা লাঞ্চিত হওয়া শিক্ষার্থীদের কলেজ ছাত্রলীগ বলে দাবি করে এবং ওসি (তদন্ত) ইয়াসিন মুন্সির অপসারন দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। এদিকে এ ঘটনার সুষ্ট বিচার চেয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সিদ্দিকুর রহমানকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন কলেজ ছাত্রলীগ।তা না হলে ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।সংবাদ পেয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান আতœগোপনে রয়েছেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে ওসি(তদন্ত)ইয়াসিন মুন্সি বলেন,কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী কলেজের মধ্যে অবস্থান করছে বলে আমাদেরকে কলেজের ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে।এ সময়ে মাদক ব্যবসায়ীরা আমাদের দেখে দ্রুত সটকে পড়লে তাদের সংঙ্গীদের কাছে আমি তাদের নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তারা এদেরকে চিনে না,জানে না বলে এড়িয়ে গেলে আমি তাদেরকে কেবল শাসন করেছি মাত্র।বর্তমানে মাদক বিরোধী অভিযান চলছে।তার অংশ হিসেবে এটি আমরা করেছি। এ ব্যাপারে জয়পাড়া বিশ^বিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন আমি মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতাদের ধরতে বলেছি।কিন্তু আমার কলেজের শিক্ষার্থীদের তো পুলিশকে মারতে বলিনি।ওদের গায়ে হাত দেওয়া মানে আমার গায়ে হাত দেওয়া।আমরা এটার উপযুক্ত বিচার চাইবো। এদিকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন শান্ত বলেছে ছাত্রলীগ পরিচয় দেওয়ার পরেও পুলিশ আমাদের ছেলেদের গায়ে হাত তুলেছে তাকে এর জবাবদিহিতা করতে হবে। সাধারন সম্পাদক আওলাদ হোসেন রিয়াদ বলেন ,জয় বাংলা বলে যদি ছাত্রলীগ মার খায় তাহলে সে পুলিশ কোন দল করে আমরা জানতে চাই। এর উপযুক্ত বিচার ২৪ ঘন্টার মধ্যে না হলে কঠোর আন্দোলন হবে। দোহার,ঢাকা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment