বঙ্গোপসাগরে ‘ছত্তার ভাই’ বাহিনীর দস্যুদের হাতে ৩৫জেলে অপহরণ

আবু হানিফ, বাগেরহাট থেকে :

বঙ্গোপসাগরে ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি ও ৩৫ জেলে অপহরণের খব্ধসঢ়;র পাওয়া গেছে। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরের কাছাকাছি অফিস কিল্লা ও ডুবোজাহাজ এলাকায় শনিবার রাত ১০ থেকে রবিবার বোর ৪টা পর্যন্ত এ দস্যুতা ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। বনদস্যু “ছত্তার ভাই” বাহিনীর সশস্ত্র দস্যুরা জেলেদের অপহরণ করেছে বলে কোস্টগার্ড, বনবিভাগ, মৎস্যজীবী নেতা ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে। দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল আহমেদ জানান, অপহৃত জেলেদের মধ্যে পিরোজপুরের বালিপাড়ার কংসা ও মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী এলাকার অন্ততঃ ১৫ জেলে রয়েছেন। তবে, তাদের নাম জানা সম্ভব হয়নি। বনদস্যু “ছত্তার ভাই” বাহিনী এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান ওই মৎস্যজীবী নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শরণখোলার একাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী জেলেদের বরাত দিয়ে জানান, শনিবার রাত ১০ থেকে রবিবার ভোর আনুমানিক ৪টা পর্যন্ত ‘ছত্তার ভাই’ বাহিনীর দস্যুরা জেলেদের ট্রলারে হামলা চালিয়ে অপহরণ ও লুটপাট চালায়। দস্যুরা দুটি ফিশিং ট্রলারে এসে জেলেদের ট্রলারে হানা দিয়ে ট্রলারে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুটে নেয়। দস্যুরা বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা, শরণখোলা উপজেলার রাজৈর ও পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আরো ২০ জেলেকে অপহরণ করেছে বলে তারা নিশ্চিৎ করেছেন। বনবিভাগের দুবলা জেলে পল্লীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাদিক মাহমুদ জেলে অপহরণের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গভীর সাগর থেকে জেলেরা ফিরে না আসা পর্যন্ত অপহৃত জেলেদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হচ্ছেনা। কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে তারা অপহরণের খবর পেয়েছেন। কোস্টগার্ডের দুবলা, কচিখালী ও কোকিলমনি কন্টিনজেন্টের সদস্যদের সমন্বয়ে আগে থেকেই নিয়মিত টহল চলমান রয়েছে। এদিন দুপুর থেকে অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে তাদের অভিযান শুরু হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment