রোনালদোর ছোটবেলার স্বপ্ন জুভেন্টাসে খেলা

ফুটবল এখন ক্লাবময়। জাতীয় দলের হয়ে বছরে ফুটবলাররা দু’চারটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পান। বড় আসর তো আসে কালে ভদ্রে। তাই ক্ষুধে ফুটবলাররা জাতীয় দলের পাশাপাশি বুদ হয়ে থাকেন বড় ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপানোর স্বপ্নে। আর সেই স্বপ্নের ক্লাবের কাতারে রিয়াল-বার্সার নাম সম্ভবত সবার ওপরে। অথচ রোনালদো বলছেন তার বাল্যকালের স্বপ্নের ক্লাব জুভেন্টাস।

রাশিয়া বিশ্বকাপে ফুটবল বিশ্বের চোখ যখন লেপ্টে আছে তখনই রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে নাম লেখালেন সিআরসেভেন। যে ক্লাবের হয়ে রোনালদোর অবসর নেওয়ার কথা, নয় বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে সেই ক্লাব ছেড়ে চলে আসলেন ইতালিতে। তবে রিয়াল ছাড়ার জন্য রোনালদো খুব একটা চাপ অনুভব করেননি। বরং তার জন্য নাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ব্যাপার ছিল।

পর্তুগালের ৩৩ বছর বয়সী তারকাকে ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে দলে টেনেছে জুভেন্টাস। যেটাকে অনেকে ‘ট্রান্সফার অব দ্যা সেঞ্চুরি’ আখ্যা দিয়েছেন। রোনালদোও একেবারে স্থির মস্তিষ্কে দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা নয়। তিনি বলেন, ‘যখন সিদ্ধান্তটা নেই পুরোপুরি স্থির ছিলাম না। জুভেন্টাসের বিপক্ষে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছি এর আগে। তাদের জন্য আমার একটা আলাদা অনুভূতি তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়েছে ইতালির ভক্তরা ক্রিস্টিয়ানোর মতো।’

জুভেন্টাসে আসার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সিআরসেভেন বলেন, ‘এটি ইতালির সবচেয়ে বড় ক্লাব। বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব জুভেন্টাস। তাই এখানে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব একটা কঠিন ছিল না। অসাধারণ এক ক্লাব জুভেন্টাস। সত্যি অসাধারণ। আমি এমন অনেক মুহূর্তের কথা মনে রেখেছি যা আমার জীবনে আগে কখনো ঘটেনি। চ্যাম্পিয়নস লিগে জুভদের জালে গোল দেওয়ার পরও ভক্তদের সেই সম্মান মনে রেখেছি আমি। আমি যখন ছোট তখন থেকেই সেরা ক্লাব জুভেন্টাস। তখন থেকেই আমি এই ক্লাবে খেলার স্বপ্ন দেখতাম।’

জুভেন্টাস আসার ওটাই আসল কারণ না বলেও জানান রোনালদো। এখন তিনি জুভেন্টাসে নিজের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দিতে চান। রোনালদো বলেন, ‘আমি জুভেন্টাসে যতটা সম্ভব উপভোগ করতে চাই। ক্লাবটাকে আগের থেকে ভালো ক্লাবে পরিণত করতে চাই। আমি এখানে খেলতে প্রস্তুত। এখানে আমার প্রথম গোল নিয়ে চিন্তিত নয়। খুব স্বাভাবিক ভাবেই জুভেন্টাসে প্রথম গোলটা করবো আমি।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment