কলাপাড়ায় নিম্নমানের আমন বীজ বপনে কৃষক বিপাকে।। বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবীতে বিক্ষোভ।।

 মোয়াজ্জেম হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি,।।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিম্নমানের আমন বীজ বপন করে কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ একর জমিতে রোপনকৃত বীজে ফসল না পাওয়ার আশংকায় শতশত কৃষক মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষোভ করেছে। ভূক্তভোগী কৃষকরা এমন সর্বনাশের পিছনে অসাধু ব্যবসায়ীরা জড়িত থাকার অভিযোগ করে বীজ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন। এ ঘটনার পর পরই স্থানীয় বীজ বিক্রেতারা দোকান গুলো বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে অন্তত শতাধিত কৃষক চলতি আমন মৌসুমে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রতারনার ফাঁদে পড়ে নিম্নমানের বীজ ক্রয় করে ক্ষেতে রোপন করেন। এসব বীজে সময়ের আগে ধানের শীষ গজিয়েছে। যা অপরিপক্ক বলে কৃষকরা উল্লেখ করেন। এসব ধানে চিটা হওয়ার পাশাপাশি অপুষ্টি ফলনের কারনে ধান হবে কম। এতে কৃষক অপুরনীয় ক্ষতির শিকার হয়েছে। কৃষক জলিল গাজী জানান, এ এলাকায় অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হওয়ায় কয়েক দফা বীজ নষ্ট হয়ে যায়। পরে বীজ সংকট দেখা দিলে স্থানীয় বীজ বিক্রেতা চান মিয়া বেপারী, আবুলকালাম, মাসুমবিল্ল্হা ও আমির বেপারীর কাছ থেকে তারা বীজ কেনেন। ওই বীজের প্যাকেটে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সীল তুলে প্যাকেটের গায়ে বীজের জাত পরিবর্তন, মূল্য বৃদ্ধি ও মেয়াদ উত্তীর্ণ উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজ সরবরাহের করে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নেয়। এর ফলে কৃষকরা পথে বসার উপক্রম হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া বেপারী বলেন, আমি উদ্দেশ্যমূলক এ বীজ বিক্রয় করিনি। আমি নিজেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমার নিজের সাড়ে ১২ একর জমিতে এ বীজ রোপন করেছি। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ অঞ্চলে হঠাৎ বীজের সংকট দেখা দিলে আমি আমতলী উপজেলার কচুফাতরা এলাকার মো.আবু মিয়ার থেকে বীজ সংগ্রহ করেছিলাম। এ ব্যাপারে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আনসার মোল্লা জানান, সরেজমিনে কৃষকের ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে। যা অমানবিক, তবে কৃষকদের ক্ষতি পোষাতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা শিপন চন্দ্র ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পরামর্শ দেয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment