গাজীপুর সিটিতে যানজট মুুুুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু

সাগর আহামেদ মিলনঃ

বুধবার সকালে ১০টার সময় গাজীপুর সিটি টঙ্গী থেকে সালনা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুইপাশে ও যানজট প্রবন এলাকা চান্দনা-চৌরাস্তা মোড়ে ওই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। এর আগে অবৈধভাবে দখলদারদের স্থাপনা সরাতে সময় দিয়েছিলেন। তারপরও যারা তা সরায়নি সেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান, র‌্যাব-১-এর কোম্পনী কমান্ডর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, গাজীপুর সিটির ১৭নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার মো. রফিকুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।গাজীপুর সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাজীপুর সিটির মানুষের যানমালের নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনের জন্য আজ রাস্তায় যৌথ অভিযানে নেমেছি। মানুষের জন্য শহর। আর মানুষ যাতে নিরাপদে চলতে পারে সেজন্য কাজ করতে চাই। মহাসড়কের পাশে দোকান থাকলে মানুষের  দূর্ঘটনা বাড়ে। ফুটপাথে ও সড়কের পাশে ভাসমান ব্যবসায়িদের তিনি পূনর্বাসনের আশ্বাস দিয়ে বলেন, তাদের জন্য ১০টি খোলা মার্কেট করে দেয়া হবে এবং সেখানে বিনা জামানতে দোকান বসিয়ে দেয়া হবে। এজন্য তাদের আবেদন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, মহাসড়কে কোন পার্কিং চলবে না। মহাসড়কের পাশের ব্যবসায়িদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মার্কেটের ভেতরে তাদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে বলেছেন মেয়র। আরো বলেন মহাসড়কের পাশে মার্কেটে যাদের দোকান-পাট আছে তাদের পন্য লোড-আনলোড করতে মার্কেটের ভেতরেই জায়গা ব্যবহার করতে অনুরোধ করেন । তিনি টঙ্গী ব্রীজ থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সালনা এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ি পর্যন্ত সকল ব্যবসায়িকে ভাসমান দোকান সরিয়ে নেয়ার জন্য জানিয়েছেন। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান বলেন, গাজীপুরের অনেক সমস্যার মধ্যে একটি কমন সমস্যা যানজট। যানজট আমাদের নগরবাসীর জন্য একটি অভিশাপ। আমি শুনেছি মুমূর্ষূ রোগীকে ঢাকার পথে নিয়ে যেতে মাঝপথে শুধুমাত্র যানজটের কারণে পড়ে চোখের সামনে বিনা সেবায় গাড়ির ভেতরে মৃত্যুবরণ করেছে। রাস্তায় বহু ডেলিভারি রোগী রাস্তায় গাড়ির ভেতরে বিনা সেবায় বাচ্চা প্রসব করেছে এবং মৃত্যু ঝুকির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। তাই আমাদের প্রত্যেককে যানজট কমিয়ে আনার জন্য যা যা করণীয় আছে তা করতে সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment