একটি ঘটনায় শনিবার সকাল থেকেই আলোচিত জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং মো. সাদেক খান।নানককে কমবেশি সবাই চেনেন। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। বিগত টার্মে আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
দশম সংসদ নির্বাচনেও নানক ঢাকা-১৩ আসন (মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগরের আংশিক) থেমে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচত হন। এবারও তিনি এখান থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
তবে ঢাকা-১৩ আসনের নির্বাচনী এলাকায় অন্য আরও কয়েকটি মুখের সঙ্গে দেখা মিলেছে মো. সাদেক খানের। অলিগলিতে তার পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে সয়লাব। এবার তাকেই নানকের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে।
শনিবার সকালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম তুলতে যাওয়ার সময় নানক ও সাদেক খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই যুবক নিহত হন।
এরপর থেকে আলোচনায়, কে এই সাদেক খান? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মো. সাদেক খান বর্তমানে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৭ সালে সাদেক খান অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বকনিষ্ঠ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৎকালীন ৪৭ নং ওয়ার্ড ও বর্তমান ৩৪ নং ওয়ার্ড থেকে চারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পেয়েছেন সর্বশ্রেষ্ঠ কাউন্সিলরের পুরস্কারও।
১৯৯৭ সালে সাদেক খান দু’বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ৪৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। এরপর ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সাদেক খান।
আলোচিত ১/১১’র সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কারাবন্দি হলে তার মুক্তির দাবিতে জনতার মঞ্চের সংগঠক হিসেবে সাড়ে ৪ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন সাদেক খান।
