বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা তিন মামলায় এ আবেদন করেন তারা।
রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। রোববার সকালেই আদালত প্রাঙ্গণে আসেন মির্জা আব্বাস ও স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।
বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বুধবারের (১৪ নভেম্বর) সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগের তিনটি মামলা করা হয়।
পুলিশের করা তিনটি মামলার প্রতিটিতে হুকুমের আসামি করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সভাপতি নবীউল্লাহ নবী, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কফিল উদ্দিনকে।
পল্টন থানায় বুধবার রাতে দায়ের করা হয় বিস্ফোরক আইনের মামলাটি। ১৯২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ১৬ জনকে।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা ২২ নম্বর মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৫৯ জনকে। এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ২৩ জনকে। আর পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দণ্ডবিধিতে করা ২৩ নম্বর মামলায় আসামির তালিকায় ১৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ২৬ জনকে।