কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে আচরণবিধিতে নিষেধাজ্ঞা নেই , পোষ্টারে অবৈধ পলিথিন ব্যবহার !

হিমেল আহমেদ,নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

কিশোরগঞ্জ- ৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে জমে উঠছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনা। পরিবেশ আইন অমান্য করে প্রচার-প্রচারণায় ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ পলিথিনের। আসনটিতে নিকলী উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন,বাজিতপুর উপজেলার ১টি পৌরসভা,১১টি ইউনিয়নে ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৬০৭ জন ভোটারের বসবাস। আসনের বেশির ভাগ জনবসতি উপজেলা সদর হইতে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন,যে কারণে নির্বাচনী আচরণবিধি সংক্রান্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা অনেকটাই কষ্টকর। এ সুযোগে প্রার্থীদের কর্মীসমর্থকরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছে অহরহ। প্রার্থীরা নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিতে রাস্তার মোড়ে,অলিগলিতে,বাজারে চায়ের দোকানের সামনে,বিভিন্ন এলাকার ভিতরে তাদের দলীয় প্রতীক সম্বলিত পোষ্টার,ব্যনার টাঁনাচ্ছেন। নির্বাচনী আচনবিধিতে দেওয়াল,ঘরের বেড়ায়,আটাযুক্ত পোষ্টার সাটাঁনো নিষেধাজ্ঞা থাকায়, দলীয় প্রার্থীদের পোষ্টার বিভিন্ন রাস্তার উপর দিয়ে একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে প্লাষ্টিক রশি দিয়ে টানাঁনো হচ্ছে। এ সকল নির্বাচনী পোষ্টার দীর্ঘস্থাীয়ত্বের জন্য অবৈধ পলিথিনের মোড়ঁকে আবদ্ধ করে,নির্বাচনী এলাকায় টানাঁনো হচ্ছে। যা নির্বাচনের আচরন বিধির পরিপন্থি না হলেও, প্রকৃতি ও পরিবেশ নষ্টের জন্য বিশাল হুমকির কারণ জানায় অনেকে। নির্বাচনী পোষ্টারে ব্যবহারের জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাটঁ-বাজারের ছোট-বড় দোকানগুলোতে অবৈধ পলিথিন বিক্রয় হচ্ছে প্রকাশ্যে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আচরণবিধি সংক্রান্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হলেও এসব নির্বাচনী পোষ্টারে পলিথিন ব্যবহারে কোনপ্রকার আইনি ব্যবস্থা না হওয়ায়,এর ব্যবহার যেন মামুলি বিষয়। নির্বাচনী আচরণবিধিতে পোষ্টারে পলিথিনের ব্যবহার নিয়ে কোন নির্দেশনা না থাকায়,স্থানীয়ভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মশালায় পলিথিনের ব্যবহার সর্ম্পকে কোন সিদ্ধান্ত দেওয়া প্রয়োজন মনে করছে না স্থানীয় প্রশাসন। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার মোছাম্মৎ শাহীনা আক্তার এ প্রতিনিধিকে জানান,নির্বাচনী আচরণবিধিতে পোষ্টারে পলিথিন ব্যবহারে কোন নির্দেশনা নেই তবে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে নির্বাচনী পোষ্টারে পলিথিন ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment