হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেস সদস্যদের মতবিরোধে আংশিক অচল হতে চলেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকার। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অর্থায়ন বরাদ্দ নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে এ অচলাবস্থা কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি, রয়টার্স।
আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ সরকারের সব বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দের একটি বিল অনুমোদন করেছিল গত সপ্তাহে। ওই বিলে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ট্রাম্প বিলটিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান।
ট্রাম্প ওই বাজেট বিলে দেয়াল নির্মাণের জন্য অতিরিক্ত ৫৭০ কোটি ডলার অন্তর্ভূক্তির দাবি জানিয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্টের দাবির সাঙ্গে পার্লামেন্ট সদস্যরা একমত না হওয়ায় মতবিরোধ তৈরি হয়। এতে শুধু চলতি বছরেই তৃতীয়বার সরকার অচলের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
আশংকা করা হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র, যাতায়াত, কৃষি, পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশনাল পার্ক অ্যান্ড ফরেস্ট বিভাগের লাখ লাখ কর্মীকে বেকার করবে এ দফার অচলাবস্থা।
মধ্যবর্তী নির্বাচনে জিতে ডেমোক্রেটরা প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফিরে পাওয়ায় আগামী বছরের শুরু থেকে নিম্নকক্ষে যে কোনো বিল অনুমোদন করাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বেশ বেগ পেতে হবে।
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে অনুমোদন পাওয়ার পর প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য বাজেট বিলটিকে সিনেট ঘুরে যেতে হবে, সেখানে পেতে হবে ন্যুনতম ৬০ ভোট।
উচ্চকক্ষে রিপাবলিকানরা সামান্য ব্যধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় বাজেট অনুমোদনে ডেমোক্রেট সিনেটরদেরও সায় লাগবে।
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) এ নিয়েই দিনভর উত্তেজনা চলে ক্যাপিটল হিলে। ডেমোক্রেটরা যদি সহায়তায় রাজি না হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের অচলাবস্থা ‘দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে’ বলেও সতর্ক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
টুইটারে মেক্সিকো সীমান্তে নির্মাণ করতে চাওয়া দেয়ালটির একটি নকশাও দিয়েছেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে সীমান্তে ওই দেয়াল নির্মাণ এবং এর খরচ মেক্সিকোর কাছ থেকে আদায়েরও প্রতিশ্রুতি ছিল তার।
ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতারাও বলছেন, মার্কিন জনগণের করের টাকায় ট্রাম্পকে দেয়াল নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।
শুক্রবার একেবারে শেষ মুহুর্তে কংগ্রেস সদস্যরা অচলাবস্থা কাটাতে একটি সমঝোতায় আসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।