সাম্প্রদায়িক ঘটনা না ঘটার প্রতিশ্রুতি চায় রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জনগণ

রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ৬ বছর পার হয়েছে। কক্সবাজর-৩ আসনে রামু উপজেলা। আসনটিতে মোট ৪ লখ্য ভোটার। কক্সবাজার শহর ও রামু মিলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ২০ হাজার ভোটের এর মধ্যে ১৫ হাজার রামুতে। হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মোট ২৩ শতাংশ ভোটকে গুরুত্ব দিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোর। এখানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের ভিতরে ক্ষত হয়ে আছে বৌদ্ধ মন্দ্রিরে হামলার ঘটনা। এখানকার মানুষ প্রতিশ্রæতি চান এমন সাম্প্রদায়িক ঘটনা যাতে আর না ঘটে।

কলেজ ছাত্রী খিং খিং রাখায়েন হিমু এবার প্রথম ভোট দিবেন। ৬ বছর আগে তিনি স্কুলে পরতেন তখন তিনি বৌদ্ধ মন্দিরের হামলা দেখেছে। হামলর সময় পরিবারের সাথে জঙ্গলে পালিয়ে ছিলো। তিনি বলেন, আমরা প্রতিশ্রæতি দেখে ভোট দিবো। আমাদের দাবি আমরা যাতে সুরক্ষিত থাকি। আমরা বৌদ্ধ সম্প্রদায় ও সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন যেন ভালো থাকি। আমাদের মন্দিরগুলো যাতে ভালো থাকে।
কক্সবাজার বৌদ্ধসম্প্রদায় সংরক্ষণ পরিষদের নেতা প্রজ্ঞানন্দন ভিক্ষু বলেন, ঐ হামলায় দলমত নির্বেশেষে সকল দলের মানুষ অংশ গ্রহণ করেছে। এ হামলাটি নিদৃষ্ট কোনো দলীয় মনোভাব থেকে হয়েছে আমরা মনে করি না। সবথেকে কষ্টের বিষয় ছিলো স্থানীয়দের জড়িত থাকার বিষয়টি। আমাদেরকে যে সুরক্ষা দিতে পারবে আমরা তাকে ভোট দিবো।

রামু কেন্দ্রিয় সীমা মহাবিহারের প্রধান সত্য প্রীয় মহাথের বলেছেন, আমরা এই দেশে ছিলাম এই দেশেই থাকবো। আমরা এই দেশের নাগরিক। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই । আমরা চাই শান্তিতে বসবাস করতে। রামু সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হক বলেন, প্রার্থীদের উচিত হবে বৌদ্ধদের নিরাত্তা বিষয়ে ওয়াদা দেওয়া। বরাবরই সংখ্যালঘুদের ভোটকে নিজেদের ভোট ব্যাংক হিসাবে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাইমন সারোয়ার বলেন, মানুষ সম্প্রীতির যায়গায় এসে পৌঁছেছে। রামুর মানুষ সম্প্রীতির পক্ষে ভোট দিবে।

বিএনপি প্রার্থী লতিফুর রহমান বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জনগণের পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো। কিন্তু রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন সাম্প্রদায়িক ঘটনা না ঘটার প্রতিশ্রæতি চায় ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment