মায়ের লাশ দেখতে পুলিশের গাড়িতে বেয়ে উঠল শিশুটি

মায়ের লাশ দেখতে পুলিশের গাড়িতে বেয়ে উঠল শিশুটি

গত ২৮ জানুয়ারি দগ্ধ হয়ে আহত গৃহবধূ ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

জানা যায় কেরোসিন ঢেলে রুমা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। গৃহবধূ মারা যাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন স্বামী ও তার স্বজনরা।

মরদেহের সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ রুমা আক্তার (২৬) ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজ পাড়ার মৃত ওবাইদুল হকের ছেলে ওয়াহিদ উল্লাহর স্ত্রী ও চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পাড়ার গিয়াস উদ্দীনের মেয়ে। তিনি এক সন্তানের জননী।

গত ২৮ জানুয়ারি ওয়াহিদুল হকের যোগসাজশে ভাই মামুনর রশিদ, মোর্শেদ ও মা তফুরা বেগম রুমা আক্তারের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।

তার চিৎকারে এলাকার লোকজন ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে দ্রুত উদ্ধার করে ঈদগাঁওস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সদর হাসপাতালে পাঠান।

স্বামীর পক্ষের লোকজন মৃত্যুর পর রুমাকে ঘরে নিয়ে এসে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করছিল। এমন সময়ে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধিকে জানানো হলে তিনি তাৎক্ষণিক ঈদগাঁও পুলিশকে বিষয়টি জানান।

পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শাহাজ উদ্দীন ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরহাতাল রিপোর্ট তৈরি করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। পুড়িয়ে দেয়া মায়ের লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় মাকে দেখতে পুলিশের গাড়িতে উঠে পড়ে তার ছোট শিশুটি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment