হারকিউলিসের খোঁজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশে মাঝে মধ্যেই নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়। কখনো মাদকের বিরুদ্ধে, কখনো জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। আর সাঁড়াশি অভিযানের মূল অস্ত্র ক্রসফায়ার বা গুম। এইভাবে জঙ্গিবাদকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। কক্সবাজার-টেকনাফ এলাকায় এরই মধ্যে ৫০ জন মাদক ব্যবসায়ী ক্রসফায়ারে মারা গেছে। এই সময়ে অঘোষিত একটি সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, ধর্ষণেরর বিরুদ্ধে। গত একমাসে চার সন্দেহভাজন ধর্ষক মারা গেছে। তারা ক্রসফায়ারে পড়েনি, গুমও হয়নি। রহস্যজনকভাবে তাদের লাশ পাওয়া গেছে। এসব লাশের গলায় ‘আমি ধর্ষক। তাই আমার এই পরিণতি’ ধরনের চিরকুট লেখা থাকে। একটি লাশের গলায় হত্যার দায় নিয়েছিলেন গ্রিক বীর হারকিউলিস। সাধারণ মানুষের পারসেপশন হলো, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরই কেউ না কেউ অভিযুক্ত ধর্ষকদের ধরে নিয়ে হত্যা করে গলায় চিরকুট ঝুলিয়ে লাশ ফেলে রাখে। কিন্তু পুলিশ বা অন্য কোনো বাহিনী এ হত্যার দায় স্বীকার করছে না। দেখে-শুনে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের নারীদের ধর্ষকদের হাত থেকে রক্ষা করতেই মাঠে নেমেছে গ্রিক বীর হারকিউলিস। যেহেতু অভিযুক্ত ধর্ষকরা মারা পড়ছে, তাই কেউ এ নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য করছেন না। কিন্তু অভিযোগ করলেই তো আর কেউ ধর্ষক হয়ে যাচ্ছেন না। সেটা আদালতে প্রমাণিত হতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও এ কথাই বলেছেন। রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘হারকিউলিস নামে যে বা যারা ধর্ষণকারীদের হত্যা করছে, তদন্ত করে তার রহস্য উদঘাটন করা হবে। এভাবে হত্যা করা অন্যায়। ধর্ষণকারীদের আইনের হাতে সোপর্দ করা উচিত ছিলো’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই যদি রহস্যটা না জানেন, তবে হারকিউলিসকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে কাউকে এভাবে হত্যা করা ঠিক নয়। অপরাধীকে আইনের হাতে সোপর্দ করা উচিত; এ উপলব্ধির জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আশা করি, এরপর আর কেউ বিনা-বিচারে হত্যার শিকার হবেন না। সবাই আইনের সুরক্ষা পাবেন।

২. চুন খেয়ে মুখ এমনভাবে পুড়েছে, এখন দই দেখলেও ভয় পাই। ক্রিকেটের সাথে বাজিকরদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের পর টি-২০ ম্যাচ দেখলেই জুয়া মনে হয়। তাই বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলা ছাড়া আর কোনো টি-২০ আমাকে টানে না। আইপিএল, বিপিএল, সিপিএল; কোনো পিএলই আমাকে টানে না। খেলা তো দেখিই না, ফলোও তেমন করা হয় না। সে অর্থে বিপিএলে নির্দিষ্ট কোনো দলের প্রতি সমর্থনও ছিলো না। কিন্তু ‘কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স’-এর আসার পর খেলা দেখি আর না দেখি; তাদের প্রতি অটো সমর্থন চলে গেছে। এই বায়বীয় সমর্থনের আবার দুটি কারণ আছে। প্রথমত আমি কুমিল্লার মানুষ। দ্বিতীয়ত আমি একজন ওল্ড ভিক্টোরিয়ান্স, মানে ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক ছাত্র। যে দলের নামে কুমিল্লা ও ভিক্টোরিয়ান্স দুটি শব্দই আছেই, তাদের প্রতি কিছুটা অটো সমর্থন চলে আসতেই পারে, নাড়ির টান বলে কথা। অবশ্য এবার রংপুর রাইডার্সের প্রতিও কিছুটা সমর্থন ছিলো, সেটা মাশরাফির কারণে। আমি দেখিনি, তবে ৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিপিএল’এর ফাইনাল নাকি ফাইনালের মতোই হয়েছে। ঢাকা হেরেছে কুমিল্লার কাছে, আসলে তামিমের কাছে। বিপিএল’এর ফাইনালের চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তামিমের দানব হয়ে ওঠাটা। সামনে নিউজিল্যান্ড সফর ও বিশ্বকাপে তামিমের এই ড্রেস রিহার্সেল কাজে লাগবে। ৬১ বলে ১৪১ রানের ইনিংস তামিমকে আরও আত্মবিশ্বাসী করবে নিশ্চয়ই।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment