পুত্রবধূকে প্রেমিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখায় শাশুড়ীকে হত্যা

মামাত ভাই কামালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে মুবিনের স্ত্রী কুলসুম আক্তারের। স্বামী মোহাম্মদ মুবিন দীর্ঘদিন ধরে কুয়েত প্রবাসী। এই সুযোগে এক রাতে কামালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন কুলসুমের শাশুড়ী আয়েশা বেগম (৫৫)।
https://youtu.be/b8byfn7b5Cc

মামাত ভাই কামালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে মুবিনের স্ত্রী কুলসুম আক্তারের। স্বামী মোহাম্মদ মুবিন দীর্ঘদিন ধরে কুয়েত প্রবাসী। এই সুযোগে এক রাতে কামালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন কুলসুমের শাশুড়ী আয়েশা বেগম (৫৫)। এতে বেশ ঘাবড়ে যান কুলসুম-কামাল। দু’জনে মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন সেই বৃদ্ধাকে।

ঘটনাটি ২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাতে রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তপাড়ায় শাহিদুল্লাহ কাজীর বাড়িতে ঘটে।

রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ জানান, সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুত্রবধূ কুলসুমকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জেলার পটিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কামালকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, শাশুড়ীকে খুনের পর ঘটনাটি চতুরতার সঙ্গে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেন কুলসুম।

শাশুড়ী আয়েশা বেগম স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে ব্যাপক কান্নাকাটি করেন পুত্রবধূ। তার মায়াকান্নায় গলেও যায় বাড়ির লোকেরা। সরল বিশ্বাসে হত্যাকাণ্ডটিকে সবাই স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে করে।

এদিকে নিহতের কুয়েত প্রবাসী ছেলে মুবিন দেশে ফিরে সুকৌশলে মা’র মৃত্যু রহস্য স্ত্রীর কাছ থেকে জেনে নেন। কুলসুম তার স্বামীর কাছে স্বীকার করেন যে মামাতো ভাইয়ের সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। ওই রাতে দুজনকে আপত্তিজনক অবস্থায় শাশুড়ী দেখে ফেলেন। ঘটনা গোপন করতেই তারা দুজনে সিদ্ধান্ত নিয়ে শাশুড়ীকে গলাটিপে হত্যা করেন।

এরপরই মুবিন বাদী হয়ে স্ত্রী কুলসুম আকতার ও তার পরকীয়া প্রেমিক কামালকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে মামলার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। তাতে শ্বাসরোধে হত্যার প্রমাণ মিলেছে বলে জানায় পুলিশ।

কুলসুম আকতারের ৬ বছরের এক কন্যা সন্তান আছে। সে বর্তমানে নানার বাড়িতে আশ্রয়ে আছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment