নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই ক্রিকেটারদের পাঠাবো : প্রধানমন্ত্রী

আগামীতে যেখানেই ক্রিকেট টিম পাঠানো হোক না কেন সেখানে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টা ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তবেই পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চার লেন বিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন শেষে তিনি একথা জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে যে ঘটনা ঘটে গেল, মসজিদের ভিতর ঢুকে সেখানে ৪৯ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় এক ডজনের উপর মানুষ এখন আহত। সেখানে বাংলাদেশের তিনজন নাগরিক মৃত্যুবরণ করেছে। আমি তাদের প্রতি শোক জানাই। এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা যেটা সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদী ঘটনা, এই ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, আমাদের ক্রিকেট প্লেয়াররা মসজিদে তাদের নামাজ পড়তে যাওয়ার কথা এবং তারা গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে একজন আহত মহিলা তাদের মসজিদের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। এতে তাদের জীবন অল্পের জন্য বেঁচে যায়। ’

এ সময় সেতুতে অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন যেন না উঠতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ৪০০ মিটার দৈর্ঘ এবং ১৮ মিটার প্রস্থ দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুটি যানচলাচলের জন্য খুলে দিলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট অনেকটা কমে আসবে। দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে এবং খুব শিগগির এ সেতু দুটিও যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবায়শি করপোরেশন, শিমিজু করপোরেশন, জেএফই ইঞ্জিনিয়ার করপোরেশন এবং আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেম কোম্পানি লিমিটেড ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতি সেতুর পাশাপাশি দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। আগামী জুনে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা ছিল, তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় চার মাস আগেই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

কাঁচপুর, মেঘনা ও মেঘনা গোমতি সেতুর পাশাপাশি তিনটি চার লেনের সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম এই সড়কে যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুভোর্গের অবসান ঘটবে বলে আরএইচডির কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment