অন্তঃসত্তা স্ত্রী মরলেন আগুনে পুড়ে, স্বামী মরলেন লাফ দিয়ে

অন্তঃসত্তা স্ত্রী মরলেন আগুনে পুড়ে, স্বামী মরলেন লাফ দিয়ে

Globe aire ac

রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছে রুমকি-মাকসুদ দম্পতি। এদের মধ্যে রুমকি আক্তারের (৩০) মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে রাখা হয়েছে।

এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনটিতেই পুড়ে মরেছেন রুমকি আক্তার নামে এক নারী। আর তার স্বামী আগুন থেকে বাঁচতে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হয়েছেন। তবে মাকসুদুর রহমানের (৩২) মরদেহ রয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতালে।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মাকসুদুরের খালাতো ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ ঢামেক মর্গে এসে তার ভাবির লাশ শনাক্ত করেন।

তিনি জানান, এই দম্পতির বিয়ে হয়েছে তিন বছর আগে। রুমকি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তা ছিলেন। নিহত রুমকি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বিন্যাকুড়ি গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে।

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ঢাকার গেন্ডারিয়ায় তারা বসবাস করতেন। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই এফ আর টাওয়ারে অবস্থিত একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতেন।

এদিকে নিহত রুমকির গ্রাম বিন্যাকুড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার বাবা জানান, ‘তিন বছরের সংসারে প্রথমবারের মত আমার মেয়ে সন্তান সম্ভবা ছিলো। এক নিমিষেই আমার সব শেষ হয়ে গেল’

মাকসুদুরের লাশ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে রাখা আছে বলে জানান ইমতিয়াজ। আর রুমকিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে ভবনটির ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে।

ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে। সেই সঙ্গে বিল্ডিংয়ের ওপর থেকে হেলিকপ্টার থেকে বালু ফেলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হয়। এছাড়াও ল্যাডার ইউনিট (বহুতল ভবন থেকে উদ্ধারকারী সিঁড়ি), মোটরসাইকেল ইউনিট, ৫টি হেলিকপ্টার ও সেনাবাহিনীসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে ভবনটি থেকে।

রাত ১০টা ৫৮ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডে ২২ জন নিহত ও ৭০ জন আহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস

সূত্র জানায়, ভবনটিতে দ্যা ওয়েভ গ্রুপ, হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস, আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড ছাড়াও অর্ধশতাধিক অফিস রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment