বন্ধ হয়ে গেল গুগল প্লাস

বন্ধ হয়ে গেল গুগল প্লাস

ফেসবুক ও টুইটারকে টেক্কা দিতে আট বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গুগল প্লাস চালু করেছিল গুগল। তবে নিরাপত্তা ত্রুটি ধরা পড়ায় বন্ধ হয়ে গেল গুগলের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুগল প্লাস।

মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) থেকে গুগল প্লাসের ব্যবহারকারীরা আর এটি ব্যবহার করতে পারছেন না। সাইটটি জনপ্রিয় করার নানা প্রচেষ্টায় ব্যর্থতা এবং গত বছরের শেষ নাগাদ নিরাপত্তা ত্রুটি ধরা পড়ার পর এটি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। দ্য ভার্জ ও বিবিসির খবরে এ কথা বলা হয়েছে।

গুগল প্লাস তার ব্যবহারকারীদের তথ্যে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে এক বিবৃতিতে গুগল বলেছে, গুগলের কোনো সেবায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। কিন্তু অ্যাপ ডেভেলপারদের ত্রুটির কারণে গুগল প্লাস ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষায় অনিশ্চয়তা ধরা পড়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবহারকারীর তথ্যের অপব্যবহার হয়েছে বলে কোনো প্রমাণ পায়নি গুগল। কিন্তু প্রায় ৫ কোটি ২৫ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।

২০১১ সালে চালু হয় গুগল প্লাস। চালুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কয়েক লাখ ব্যবহারকারী এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইনআপ করে। কিন্তু সাইনআপ করা অল্পসংখ্যক মানুষই এটি ব্যবহার করত।

২০১৮ সালে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের পর হতাশ হয়ে পড়ে গুগল কর্তৃপক্ষ। প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয়। গত সেপ্টেম্বর–অক্টোবর মাসের দিকে গুগল প্লাস বন্ধ করে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে গুগল। সে সময় বলা হয়, ২ এপ্রিল থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য মুছে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তবে গুগল প্লাসের সব তথ্য স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা হবে না। গুগলের ইন্টারনেট অ্যান্ড আর্কাইভ টিম জানিয়েছে, গুগল প্লাস ব্যবহারকারীর পাবলিক পোস্টগুলো মুছে ফেলার আগে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করছে তারা।

অবশ্য গুগল প্লাসের সব কনটেন্ট আর্কাইভ করা হবে না। প্রাইভেট করে রাখা এবং ব্যবহারকারী মুছে ফেলেছেন, এমন কনটেন্ট সংরক্ষণের আওতায় থাকছে না। এ ছাড়া কোনো পোস্টের কমেন্ট থ্রেডে ৫০০-এর বেশি কমেন্টও সংরক্ষিত হচ্ছে না। তবে ফটো ও ভিডিও কনটেন্টের রেজল্যুশন কমিয়ে তা সংরক্ষণ করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment