ফুলছড়িতে শিশু, ঈশ্বরগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণ

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় এক শিশু ও ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দুই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা গত শনিবার রাতে ফুলছড়ি থানায় মামলা করেন। রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত একই গ্রামের রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে অসুস্থ শিশুটি গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম চকলেট খাওয়ার লোভ দেখিয়ে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

ফুলছড়ি থানার ওসি বেলাল হোসেন জানান, রফিকুল ইসলামকে গতকাল সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে গত শনিবার রাতে ঈশ^রগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হয় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্তপুর গ্রামের এক কিশোরী।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ট্রেনযোগে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছিল ওই কিশোরী। ট্রেনে তার সঙ্গে পরিচয় হয় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের মজিবুর রহমানের পুত্র মাদ্রাসাছাত্র মাহফুজুর রহমানের। আলাপচারিতার একপর্যায়ে মাহফুজ ফুসলিয়ে কিশোরীকে নিয়ে সোহাগী স্টেশনে নেমে তার গ্রামের বাড়ি সাহেবনগর যেতে চায়। কিন্তু কিশোরী যেতে অস্বীকৃতি জানালে মাহফুজ তাকে ঢাকা পাঠানোর উদ্দেশে অটোবাইকযোগে ঈশ্বরগঞ্জ রেলস্টেশনে নিয়ে আসে। কিন্তু তখন ঢাকা যাওয়ার কোনো ট্রেন ছিল না। স্টেশনে ঘোরাফেরার সময় স্থানীয় মিন্টু মিয়ার পুত্র সুজন ও তার সহযোগীরা পরিত্যক্ত একটি কোয়ার্টারে আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে সুজনের বাসায় নিয়ে আবারও সুজন, রনি, বাবুল, স্বপন, বাপ্পা ও মাহফুজ কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

গতকাল ভোরে কিশোরীকে বাসা থেকে বের করে দেয় তারা। এর পর কিশোরী স্থানীয়দের ঘটনা জানায়। মাতব্বররা সালিশে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ধামদী এলাকা থেকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার এবং মাহফুজুর, বাপ্পা ও বাবুলকে আটক করে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে গতকাল সন্ধ্যায় ঈশ^রগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সাখের হোসেন সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মাহফুজ ও বাপ্পা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment