কুমিল্লা ইপিজেডে আগুন: দমকলবাহিনীর হার না মানা সাড়ে ১০ ঘন্টা

কুমিল্লা প্রতিনিধি।। কুমিল্লা সুতা কারখানায় সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আগুনের সাথে যুদ্ধ করে দমকল কর্মীরা। টানা দশ ঘন্টা যুদ্ধ শেষে রণভঙ্গ দেয় আগুনের লেলিহান শিখা ।

আর যুদ্ধজয়ের তৃপ্তি নিয়ে রণাঙ্গনেই শরীর এলিয়ে দেয় দমকল বাহিনীর সদস্যরা। আগুনে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে ধোঁয়ার কুন্ডলি জানান দিচ্ছিলো দমকল বাহিনীর রাতভর কঠোর পেশাদারিত্বের কথা। এ দিকে ইপিজেডে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধ্যানে ৫ সদস্যের একটি কমিটি করেছে জেলা প্রশাসক কুমিল্লা।

সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় কুমিল্লা ইপিজেডের আর এন স্প্রিং মিলে আগুন লাগে।খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেডের দশটি ইউনিট টানা দশ ঘন্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্মথ্য হয়। পানির পাইপ নিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আনা নেয়া করতে থাকে দমকলকর্মীরা। প্রত্যেকের চোখেমুখে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার অদম্য লক্ষ্য।

পুরো দেশবাসীর চোখ যেখানে শুধু খবরের দিকে, সেখানে দমকলকর্মীদের চোখ আগুনের লেলিহান শিখার লাল জিহŸাকে টেনে ধরার লক্ষ্যের দিকে । টানা দশঘন্টা পর রণভঙ্গ দেয় আগুন। ধোয়ার কুন্ডলি আর আগুনের প্রচন্ড তাপ সহ্য করে এগিয়ে যাওয়া দমকল বাহিনীর কাছে হার মানে লাল আগুনের শিখা। তবে আগুনের লেলিহান শিখা রেখে যায় আড়াইশ কোটি টাকার ক্ষতচিহ্ন।

কুমিল­া ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথ জানান, ইপিজেডের কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে কুমিল­া ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনের ১০ টি ইউনিট পরে আরো একটি টিম কাজ করেছে।

তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

তবে দমকল বাহিনীর পেশাদারিত্বের যে ছাপ লক্ষ্য করেছে কুমিল­াসহ দেশবাসী সবাই দমকল বাহিনীকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন । অভিনন্দনের বার্তা ঘুরে ঘুরে জানান দিচ্ছে দমকল বাহিনীকে।

অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কুমিল­ার জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর এবং পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।তারা এ বিষয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘটন করেছেন। তদন্ত কমিটিকে নিদিষ্ট সময়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment