নুসরাত যে মাদ্রাসায় পড়তেন, সেই মাদ্রাসার একটি ভবনের নাম তার নামে করা হবে বলে জানিয়েছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। এ ছাড়া একটি সড়কের নামও নুসরাতের নামে করা হবে।
শুক্রবার রাতে নুসরাতের কবর জিয়ারত করার পর নিজাম হাজারী বলেন, খুনিদের কয়েকজন ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্যরাও শিগগির গ্রেপ্তার হবে। মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত খুনিরা ছাড় পাবে না বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে নুসরাতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। নুসরাত হত্যার বিচারে আইনি সহযোগিতা এবং আর্থিক সহযোগিতাসহ সব ধরনের সহযোগিতা আমি করব।
এ সময় নিজাম হাজারী বলেন, একজন মাদ্রাসাছাত্রীকে অধ্যক্ষের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার মতো জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই।
নিজাম হাজারী এমপি ফেনী আসার পরপর শুক্রবার রাতে নুসরাতের গ্রামের বাড়িতে ছুটে যান। সেখানে তার বাবা মাওলানা মুসা, তার মা এবং ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং সমবেদনা জানান।
শেষে সোনাগাজী পৌর এলাকার উত্তর চর চান্দিয়া গ্রামে নুসরাতের কবর জিয়ারত করেন নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বি কম, সোনাগাজী আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াতুল হক বিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার, চর চান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিলন, মতিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু, বগাদানা ইউপি চেয়ারম্যান কখম ইসহাক খোকনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।
