ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নারী দুই সন্তানের মা বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত নুর আলম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী নারীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী বিদেশে থাকেন।এ সুযোগে দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার নুর আলম, মো. আপেল ও মোশারফ হোসেন নামে তিন যুবক ওই নারীকে বিভিন্নভাবে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে ভুক্তভোগী নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তারা। বিষয়টি ওই গৃহবধূ তার পরিবারের সদস্যদেরকে জানান। পরে তারা বিষয়টি ওই তিন যুবকের পরিবারকে অবহিত করেন। কিন্তু এতেও কোনো লাভ হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকও হয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে টয়লেট ব্যবহারের জন্য ওই গৃহবধূ ঘর থেকে বের হন। তখন আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ওই তিন যুবক পেছন থেকে তাকে মুখ চেপে ধরে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যান। পরে সেখান থেকে এসে ওই গৃহবধূ অচেতন হয়ে বাড়ির উঠানে পড়ে যান। কিছুক্ষণ পর তার সন্তান হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে মাকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
খবর পেয়ে আজ সকালে উপজেলার আদর্শগ্রাম কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুপুরে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় আজ বুধবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে নুর আলম, মোহাম্মদ আপেল ও মোশারফ হোসেনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে আটক যুবককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার আসামিকে বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে সোনাগাজী
