কোকোর পর তারেক-জোবাইদার অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ দুদকের

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পর এবার বড় ছেলে তারেক রহমান ও স্ত্রী জোবাইদা রহমানের অর্থও দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। অনুসন্ধান শুরু করেছে ব্রিটেনে থাকা তারেক দম্পতির তিনটি ব্যাংক হিসাবের বিষয়ে। অনুসন্ধান শেষে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক। এর আগে তিন দফায় কোকোর পাচার করা ২০ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা দেশে ফেরত আনা হয়। এছাড়া সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে ২০১১ সালের ২৩ জুন মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে আদালত কোকোকে ছয় বছরের কারাদ-সহ ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জরিমানাও করে আদালত।

গত বুধবার তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানের নামে ইংল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইমরুল কায়েস। দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন। জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে সন্দেহজনক লেনদেন হওয়ার অভিযোগে ব্রিটেনের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) তিনটি ব্যাংক হিসাব আগেই জব্দ করেছে। দুদক মনে করছে ওই অর্থের বিষয়ে এখনই কোনো ব্যবস্থা না নিলে তা বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ প্রতিবেদককে বলেন, গত বছর বিএনপির তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের মানি লন্ডরিং বিষয়ে দুদকের একটি অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। ব্রিটেনে এফআইইউ তদন্ত করে তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রেখেছে। দুদক অনুসন্ধান করে দেখেছে ওই হিসাব জব্দ করা প্রয়োজন। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ১৪ (১) ধারা অনুযায়ী দেশে বা দেশের বাইরে থাকা ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের আদালতের আদেশটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। সে দেশের মন্ত্রণালয় আদেশটি ওই ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পৌছে দিবেন। মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল এসিসটেন্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তারা এই আদেশ মানতে বাধ্য। বাংলাদেশ ১৩৮ দেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ।

খুরশিদ আলম খান আরও বলেন, এর আগে বিএনপির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানের ব্যাংক হিসাব হাইকোর্টের মাধ্যেমে ফ্রিজ করেছিলাম। সেটাও হংকং পুলিশ আমাদের জানিয়েছিল। এছাড়া রবিন চৌধুরী নামের একজন ও ড. খন্দকার মোশারফ হোসেনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা আছে। তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং এর মামলা চলছে। তিনি বলেন, এখন অনুসন্ধান চলছে। সেটি প্রমাণিত হলে অবশ্যই তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment