শরীয়তপুরে কৃষককে গাছের ডালা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা!

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় হাবীব ফকির (৫০) নামে এক কৃষককে গাছের ডালা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

নিহত হাবীব ফকির উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্বসিড্যা গ্রামের মৃত খলিল ফকিরের ছেলে। হাবীব ফকিরের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

পুলিশ, স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, গত ২১ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের পূর্বসিড্যা গ্রামের ফকির বাড়ির মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে হাবীব ফকিরের ছেলে মুজাহিদ ফকির (১৩) একই গ্রামের খোকন কাহেতের ছেলে মো. সাদ্দাম কাহেতের (২৫) সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে মুজাহিদকে মারধর করে আহত করে সাদ্দাম।

ওইদিন রাত ৮টার দিকে গ্রামের জালাল উদ্দিন মাদবর (জালু) চায়ের দোকানের সামনে ছেলে মুজাহিদকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ করে বাবা হাবীব ফকির।

প্রতিবাদ করায় সাদ্দাম কাহেত চাম্বুল গাছের ডালা দিয়ে হাবীব ফকিরের মাথায় এলোপাথারীভাবে আঘাত করতে থাকে এবং রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীরা এগিয়ে এলে সাদ্দাম পালিয়ে যায়।

পরে পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাবীবকে ডামুড্যা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাবীবের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মো. আলতাফ ফকির ডামুড্যা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

হাবীব ফকিরের ছোট ভাই মো. আলতাফ ফকির বলেন, আমার বড় ভাই হাবীব ফকির একজন কৃষক। ভাতিজাকে মারধর করেছে প্রতিবাদ করায় হাবীব ভাইকে গাছের ডালা দিয়ে মাথায় উপর পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেছে সাদ্দাম। ঢাকা মেডিকেলে তিনদিন অসুস্থ থাকার পর মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।

বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে শরীয়তপুরের গ্রামের বাড়িতে আনা হচ্ছে লাশ। আমার ভাইকে খুন করেছে সাদ্দাম। আমি এই হত্যার বিচার চাই।

অভিযুক্ত সাদ্দাম কাহেতসহ তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের পাওয়া যায়নি।

ডামুড্যা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামী সাদ্দাম ও তার পরিবার ঘরে তালা মেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আসামীকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment