গাইবান্ধায় প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ, আটক ১

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের পশ্চিম কুপতলা মধ্যপাড়া গ্রামে ৯ বছর বয়সী (মীম আকতার) প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি স্থানীয় মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।

ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শাকিল মিয়া (১৯) এর বাবা আইয়ুব খানকে গত সোমবার রাতে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি অসুস্থ অবস্থায় এখন হাসপাতালের ১৯নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সদর থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির জন্মের ৩মাস পর তার বাবা মোকছেদুল ইসলাম মারা যায়। ৫ মাস পর তার মা লাবণী বেগম অন্যখানে বিয়ে করে চলে যায়। ফলে এতিম শিশুটি তার দাদি পশ্চিম কুপতলা মধ্যপাড়া গ্রামের মর্জিনা বেগমের বাড়িতে থেকে প্রতিপালিত হচ্ছিল। দাদির নির্দেশনা অনুযায়ি গত রোববার সন্ধ্যায় তাদের চার্জ দেওয়া টর্চলাইট নিয়ে আসার জন্য প্রতিবেশী আইয়ুব খানের ঘরে যায় ওই ছাত্রীটি। এসময় ঘরে থাকা আইয়ুব খানের বখাটে ছেলে শাকিল মিয়া শিশুটিকে জাপটে ধরে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করে চাকু দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে মর্মে হুমকি দেয়। শিশুটি বাড়িতে ফিরে সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে দাদির জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ করে। ওই রাতেই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হলে শাকিল মিয়ার পরিবার হুমকি ধামকি দিয়ে তাদেরকে বিদায় করে দেয়। পরে অসুস্থ শিশুটিকে গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এব্যাপারে ধর্ষণের শিকার শিশুটির দাদি মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে চারজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার একজনকে আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার পর অপরাধীকে গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের গাইনী বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ তাহেরা আক্তার মনি জানান, মঙ্গলবার শিশুটির মেডিকেল টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। কিছু সমস্যার আলামত পাওয়া গেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment