খাগড়াছড়িতে ধনিতা ত্রিপুরা (১৭) নামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অভিযোগ, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কম্বল ত্রিপুরা নামে এক যুবক সহযোগীদের নিয়ে তাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করেছে।
সোমবার রাতে সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দুর্গম বড়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ধনিতা ওই এলাকার বাসিন্দা নলমোহন ত্রিপুরার মেয়ে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কম্বলসহ তিন ত্রিপুরা যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাৎ হোসেন টিটো জানান, খবর পেয়ে নিহতের শয়নকক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন ত্রিপুরা যুবককে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেনÑ কম্বল ত্রিপুরা (১৯), কিরণ ত্রিপুরা (২০) ও রুমেন ত্রিপুরা (২২)। এরা সবাই ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের ভিজাচন্দ্র কার্বারীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে কম্বল ত্রিপুরা ওই কিশোরীকে বিয়ে করার জন্য ধনিতার পরিবারকে চাপ দিয়ে আসছিল। ঘটনার রাতেও ধনিতার মাকে ফোন করে মেয়েকে উঠিয়ে নেওয়ার হুমকি দেয় সে।
নিহতের বাবা নলমোহন ত্রিপুরা জানান, স্ত্রীকে নিয়ে দীঘিনালায় বেড়াতে যান তিনি। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে কম্বল ত্রিপুরা তার দুই সহযোগীকে নিয়ে ধনিতাকে ঘরে একা পেয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।
ভাইবোনছড়া ইউপি চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা জানান, ভিকটিমের পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণাÑ ওই তিন যুবকই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।