কোনো কার্যক্রম না থাকায় আশাহত রোহিঙ্গাদের পাচার হওয়ার মূল কারণ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

দেশে ফেরার কোনো আশা না দেখে পেয়ে ক্যাম্প থেকে পালানোর চেষ্টা করছে রোহিঙ্গারা। তাদের গন্তব্য, হয় সমদ্র পথে মালয়েশিয়া; না হয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পাসপোর্ট নিয়ে অন্য দেশে চলে যাওয়া। যাদের বেশিরভাগই পাচারের শিকার হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম না থাকায় রোহিঙ্গারা পাচার হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কামাল জানালেন, পাচার ঠেকাতে আশ্রয় শিবিরে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হবে। তবে, রোহিঙ্গাদের অন্য দেশে চলে যাওয়ায় সমস্যা দেখছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

বিয়ে, চাকরি কিংবা বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রোহিঙ্গাদের পাচার করছে অসাধু একটি চক্র। যাদের কেউ কেউ ধরাও পড়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, যারা পাচারে সহযোগীতা করেছে বা যারা সরাসরি জড়িত তাদের সনাক্ত করে মামলা করা হয়েছে।

দালাল ধরে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেয়ার চেষ্টার পাশাপাশি সমুদ্র পথে মালয়েশিয়ার যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। গত তিন মাসে সমুদ্র পথে পাচারের সময় পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াও ধরা পড়েছে তারা।

মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেছেন, এমন কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম তারা লক্ষ্য করছেন না যাতে তারা নিরাপদে সম্মানের সাথে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবে, এটি একটি দিক। আরেকটি হলো, মানব পাচারকারিরা তাদের নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

আইএসসিজি’র মুখপাত্র সৈকত বিশ্বাস বলেন, কারো কারো পরিবার বিদেশে থাকতে পারেন। সে পরিবারের সাথে পনর্মিলে। অথবা ক্যাম্প বেরিয়ে তারা ভিন্নতর জীবন যাপনের করার আকাঙ্খা থাকতে পারে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গাদের জড়িয়ে পড়া ও পাচার ঠেকাতে আশ্রয় শিবিরে কাঁটা তারের বেড়া দেয়া হবে। বেড়া দিতে করার জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

তবে, রোহিঙ্গাদের অন্য দেশে চলে যাওয়ায় সমস্যা দেখছেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন