নবাবগঞ্জে হাঁসের খামারে লাভবান বিদেশ ফেরত বাদল (ভিডিও)

 আবুল হাসেম ফকির ও বিপ্ল্ব ঘোষ.

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নিজ গ্রামে হাঁসের খামার করে লাভবান হয়েছেন প্রবাস ফেরত বাদল দেওয়ান। এতে গ্রামের বেকার যুবক-যুবতীরা হাঁস পালনে উৎসাহিত হচ্ছেন। জানা গেছে, নয়নশ্রী ইউনিয়নের রাহুতহাটি গ্রামের মাইনদ্দিন দেওয়ানের ছেলে বাদল দেওয়ান (৫০)। দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দুই বছর আগে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মোল্লা বাড়ীর মোল্লা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১শ’ হাসের বাচ্চা কিনে খামার শুরু করেন। এখন তার খামারে দুই হাজারের বেশি হাঁস পালন করা হচ্ছে। লাভবানও হয়েছেন বাদল দেওয়ান। বাদল দেওয়ান জানান, দীর্ঘ ২০ বছর দুবাই ও কাতারে প্রবাস জীবন পার করেছেন। প্রবাসে ইন্টারনেট দেখে দেশে এসে হাঁসের খামার গড়ার পরিকল্পনা করেন।

 

ইন্টারনেট থেকেই তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। হাঁস পালনে খরচ কম, পরিশ্রমও কম। তাই চাচাত শামীম মেম্বারের পুকুর আর আমাদের পৈত্রিক জমি নিয়ে খামার করার পরিকল্পনা করি। দুই বছর আগে ১শ’ হাসের বাচ্চা কিনে খামার শুরু করেন। হাঁসের বাচ্চা গুলোকে স্বযতনে লালন পালন করেন। সাড়ে চার মাস বয়সে ডিম দেয়া শুরু করে হাঁস গুলো। চার মাস ডিম দেয়ার পর হাঁস গুলো বিক্রি করে দেয়া হয়। এতে লাভবান হওয়ায় ফের ৮শ’ হাঁসের বাচ্চা কেনেন। এরপর আরও চার দফা হাঁসের বাচ্চা কেনা-বেচা হয়েছে। এভাবে তিনি সব খরচ বাদ দিয়ে সাড়ে ৩লাখ টাকা লাভ করেছেন। এখনও তার খামারে দুই হাজারের বেশি ডিম দেয়ার উপযুক্ত হাঁস রয়েছে। যা আগামী মাস থেকে ডিম দেয়া শুরু করবে। বাদল দেওয়ান আরও বলেন, আমাদের গ্রামটা নিচু এলাকা। এতে বর্ষা মৌসূমে প্রাকৃতিকভাবে হাঁসের খাবারের অভাব থাকে না। শুধু শুস্ক মৌসূমের দুই মাস কিছুটা কেনা খাবার দিতে হয়। গত দুই বছরে সর্বসাকুল্যে দুই লাখ টাকা খরচ করেছি। প্রতিটি ডিম পাইকারী দামে ১০ টাকা ও প্রতিটি হাঁস (ডিম পাড়ার পর) ৩শ’ টাকা দামে বিক্রি করেছি। এতেই আমি লাভবান হয়েছি। আমার খামার দেখে গ্রামের অনেকে হাঁস পালনে উৎসাহিত হচ্ছে। তিনি দাবী জানান, এলাকার বেকার যুবক-যুবতীদের সরকারিভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে বেকারত্ব ঘোচানো সম্ভব হবে। তাছাড়া সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে স্থানীয়ভাবে মাংসের চাহিদা মেটানো যাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন