ঘরে আটকে কিশোরীকে ধর্ষণ, চিকিৎসক গ্রেপ্তার

নরসিংদীতে পড়াশোনার প্রলোভন দেখিয়ে দুই মাস ঘরে আটকে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শুক্রবার (৩১ মে) সকালে উপজেলার দক্ষিণ শীলমান্দী গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের বাড়িতে থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে আটক ও ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতিতা ওই কিশোরী পুলিশকে জানায়, দুই মাস বাসায় আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণসহ পাশবিক নির্যাতন করেছে ওই চিকিৎসক।

জানা গেছে, অভিযুক্ত এমবিবিএস ডা. জুলফিকার আলী গাজীপুর জেলার হোতাপাড়া থানার মনিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার উত্তর শীলমান্দী এলাকায় ছনিয়া নিটওয়ার মিলস শ্রমিকদের চিকিৎসা সেবায় কর্মরত ছিলেন। গত দুই মাস আগে দক্ষিণ শীলমান্দী এলাকার সিরাজ উদ্দিনের বাড়িতে বাসা ভাড়া নেন।

ওই সময় ভাগ্নি পরিচয় দিয়ে নির্যাতিতাকে নিয়ে বাসায় উঠেন। এরপর থেকে তাকে বাসায় আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। চিকিৎসক ও নির্যাতিতার গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাদের ওপর নজর রাখতে শুরু করেন বাড়ির মালিক। পরে ঘটনাক্রমে ওই কিশোরী বাড়ির মালিককে সব কিছু খুলে বলেন। পরে বাড়ির মালিক এলাকাবাসীর সহায়তার ওই লম্পট চিকিৎসককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

নির্যাতিতা স্কুলছাত্রী জানায়, ২০১৮ সালে এসএসসি পাস করেছে সে। এরপর দারিদ্রতার কারণে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু স্বপ্ন ছিলো লেখাপড়া করে মানুষের সেবা করবে। তাছাড়া সে লিভার রোগে ভুগছিলো। চিকিৎসার জন্য তার মা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।

সবকিছু জেনে ওই চিকিৎসক তাকে নার্সিং কলেজে ফ্রি ভর্তি করার প্রস্তাব দেন। সেই জন্য নরসিংদীতে আসতে হবে বলে জানায়। একই সঙ্গে তার বাসার কাজ-কর্ম করে দেয়ার কথাও বলেন। সরল বিশ্বাসে মা তাকে এখানে পাঠায়। এখানে আসার পর চিকিৎসকের রূপ পাল্টে যায়। আটকে রেখে তাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও নির্যাতন চালায়।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত চিকিৎসক জুলফিকার আলীকে আটক করা হয়েছে। কিশোরীর অভিভাবকরা এলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন