অবৈধ কাজে বাধা দেয়ায় ভাতিজার নামে চাচির মামলা

মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে অবৈধ সম্পর্কের কাজে বাধা দেয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবকের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলা করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রতিবন্ধীর বিরুদ্ধে মামলার পর থেকে এলাকায় ক্ষোভ বিজার করছে।

উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের মান্দ্রা চারিপাড়া গ্রামের মৃত মতিউর রহমান গাজীর স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৪৭) আদালতে এ মামলা করেছেন।

ভূক্তভোগী মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী ফজলুল হকের ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী ওয়াসিম গাজীর (৩৪) ভাই, গাজী মাসুদ ও স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ওয়াসিম শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও সে একজন প্রতিবাদী ছেলে।

কোনো অন্যায়কে সে প্রশ্রয় দেয় না। মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুই বছর চাকরি করার পর বর্তমানে সে শ্রীনগর উপজেলা পরিষদে কর্মরত।

অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আজ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে ফাঁসানো হয়েছে।

এছাড়া আরো জানা যায়, মতিউর রহমান গাজীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বিধবা চাচি শাহনাজ বেগমের সাথে প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে চাচাত ভাই মকবুল গাজীর (৪৮) অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবারিক লোকজন তাদের আপত্তিকর অবস্থায় কয়েকবার আটক করে সালিশ মীমাংসা করে দেয়। এরপরও চাচি ও চাচাতো ভাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক থেমে থাকেনি। মানসম্মান ও পরিবারের ইজ্জতের কথা ভেবে চোখে দেখেও সকলে মুখ বুঝে চাচির সব ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ সহ্য করে আসছিল।

গত প্রায় দুই মাস আগে চাচাতো ভাই মকবুল গাজী ও চাচি শাহনাজকে বসতঘরে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয় এলাকাবাসী আটক করে। এ বিষয় নিয়ে একপর্যায়ে ওয়াসিমের সাথে চাচাতো ভাই মকবুলের ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাদের মীমাংসা করে দিলেও এর প্রতিশোধ নিতে ফন্দি আটতে থাকে চাচি শাহনাজ বেগম ও চাচাতো ভাই মকবুল।

ওয়াসিম সড়ক দুর্ঘটনায় ডান হাত ভাঙা নিয়ে গত বুধবার বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। পথেমধ্যে হঠাৎ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভাগ্যকুল র‌্যাব ক্যাম্প থেকে প্রতিবন্ধী গাজী ওয়াসিমকে মোবাইল ফোনে ডেকে পাঠানো হয়।

ওয়াসিম তাদের সাথে দেখা করতে গেলে র‌্যাব অফিসে তাকে আটক করে জানায়, তার বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাাল আদালতে চাচি শাহনাজ বেগম বাদি হয়ে একটি মামলা করেছিলেন।

ওই মামলার ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরেজমিন মামলায় উল্লিখিত সাক্ষী বাবুল শেখের স্ত্রী মানছুরা ও মৃত রহম পাঠানের ছেলে কালাম বলেন, তাদের না জানিয়েই মামলায় তাদের সাক্ষী দেয়া হয়েছে।

অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় ওয়াসিমের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। মামলা বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মজনু শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী কাউছার, ইউপি সদস্য মোকলেছুর রহমান মন্টু খানসহ এলাকার একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ওয়াসিম গাজীর বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি মামলা করায় আমরা মর্মাহত।

আপনি আরও পড়তে পারেন