এটিএম কার্ডের দাম বাড়বে, বাড়তি টাকা গুনতে হবে গ্রাহককে

ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড নিতে বাড়তি টাকা গুণতে হবে গ্রাহককে। নগদ টাকার ব্যবহার কমাতে সরকার কার্ড নির্ভরতা বাড়ানোর কথা বললেও প্লাস্টিক কার্ডের ওপর আমদানি শুল্ক বসিয়ে তা বাধাগ্রস্থ করছে খোদ সরকারই। খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এটিএম কার্ড তৈরির উপকরণের উপর আরোপ করা শুল্ক প্রত্যাহার করা না হলে নতুন কার্ড নিতে গ্রাহকের ব্যয় বাড়বে অনেক গুণ।

২০২১ সালের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চায় সরকার। গেল ১১ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ অনেক ক্ষেত্রেই এসেছে অভুতপূর্ব সাফল্য।

তেমনি ব্যাংকি খাতে নগদ টাকার ব্যবহার কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা সরকার নিয়েছে নানা উদ্যোগ। এর অন্যতম উদ্যোগ হলো প্লাস্টিক কার্ড কিংবা এটিএম কার্ডের ব্যবহার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আছে প্রায় ৪ কোটি গ্রাহক। যার মধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ গ্রাহক এটিএম কার্ড বা প্লাস্টিক কার্ড ব্যবহার করেন। তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্লাস্টিক কার্ড তৈরির উপকরণ আমদানিতে আরোপিত শুল্ক কার্যকর হলে এ সংখ্যা আর বাড়বে না বলে মনে করেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা।

সাউথ এশিয়া লিড রেমিটেন্সের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল জানান, ‘৯৫% কার্ড বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়, প্লাস্টিক এই কার্ডের ওপর ৪ থেকে ৬ গুন ট্যাক্স বসানো হয়েছে।  তাতে করে যা হবে, প্রতিটা কার্ডের খরচ ৪ থেকে ৬ গুন বেড়ে যাবে। সঙ্গত কারণেই ব্যাংকগুলো চার্জ করা শুরু করবে তাদের গ্রাহকদের ওপর। সেক্ষেত্রে কাস্টমাররা আবারো চেকে টাকা উঠিয়ে ক্যাশ টাকা দিয়ে পণ্য কেনার দিকে ধাবিত হতে পারে’।

বর্তমানে ১টি এটিএম কার্ডের জন্য গ্রাহকের প্রতিষ্ঠান ভেদে খরচ করতে হয়ে সাড়ে তিনশ থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত। ব্যাংকাররা বলছেন, বাজেটে আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করা না হলে এ খরচ আরো কয়েক শ’ টাকা বেড়ে যাবে।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘মানুষ কিন্তু কার্ড নিতে চায় কম, কার্ডের জন্য টাকা দিতে চায় না। একটা কার্ড যদি ২ ডলার হয় তাহলে খরচ করতে হবে ১৭০ টাকা, আর ৩ ডলার হলে ২৫০ টাকা। যেখানে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, এটি সামনে উল্টো প্রভাব ফেলবে’।

এমনিতেই এটিএম কার্ডের ব্যবসায় সরকারকে প্রায় ৭৩ শতাংশ কর দেয়া হয় বলেও জানিয়েছেন ব্যাংকাররা।

আপনি আরও পড়তে পারেন