রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করায় এলাকাবসীর মানববন্ধন

রাজশাহী ব্যুরো ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না) রাজশাহী-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক সম্প্রসপারণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার, বিলম্বিত কাজের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মোহনপুর উপজেলার এলাকাবাসী। এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাধারণ মানুষ ও পেশাজীবীরা অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে এলকাবীর বলেন, খুব দ্রুত এ সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ করা না করলে আগামীতে আঞ্চলিক এ মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে পৌনে ১১ পর্যন্ত মানববন্ধনটি অবস্থান করে। মহিষকুন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোহনপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড আব্দুস সালাম, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদের রাজশাহী আঞ্চলিক সদস্য সচিব অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম সুলতান, মোহনপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন কবিরাজ, মোহনপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেহেবুব হাসান রাসেল, কেশরহাট ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক হেনা, কেশরহাট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ তাজরুল ইসলাম, কেশরহাট টিবিএম কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, মোহনপুর মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক আবদুল মান্নান, কেশরহাট উচবিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সহিদুজ্জামান শহিদ প্রমূখ। এলাকাবাসী বলেন , ২০১৮ সালের শুরুর দিকে উত্তরাঞ্চলের ব্যস্ততম রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের নির্মাণ কাজ করা হয়। শুরু থেকেই নওগাঁ সীমানার কাজ দ্রুত শেষ করা হলেও রাজশাহীর অংশে কাজ চলতে থাকে ঠিকাদারের ইচ্ছেমত। রাস্তাটি খুড়ে রাখলেও শুষ্কমৌসুমে দেয়া হয়নি পানি। ফলে ধুলিবালিতে চরম ঝুকিতে যানবাহন চলাচল করেছে। প্রায় পৌনে দুই বছর ধরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন এলাকার মানুষ। এ রাস্তা এখুন সর্বোচ্চ বিপদজনক স্থানে পরিণত হয়ে পড়েছে শিক্ষা কেন্দ্রিক কেশরহাটের বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ বলেন, মহাসড়কটির কাজ দ্রুত শেষ করা জরুরী। দীর্ঘদিন রাস্তাটির কার্পেটিং তুলে রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা রয়ছে। কোথাও কোথাও হাঁটু পানি জমে থাকছে। রাস্তার কাজের এ ধরনের চরম অবস্থার জন্য জনসাধারণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে দাবী করেন তিনি। জানা গেছে, সড়কটির কাজ মাঝপথে পেলে রেখে লাপাত্তা রয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। বর্তমানে জনদুর্ভোগের নাম হচ্ছে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক। জানা গেছে, রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কটি ৭ দশমিক ৩ মিটার চওড়া থেকে ১০ দশমিক ৩ মিটার চওড়াকরণ কাজটি শুরু হয় প্রায় দেড় বছর আগে। এর মধ্যে দুটি প্যাকেজে কাজ করছেন ওয়াহেদ কন্সট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যার সত্তাধিকারী হলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা ও বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জুর রহমান পিটার। তিনি সর্বমোট দুটি প্যাকেজ প্রায় ৫০ কোটি টাকার কাজ করছেন। এর মধ্যে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা তিনি উত্তোলন করেছেন। তার দুটি কাজের মেয়াদের শেষ সময় ছিল ৩০ এপ্রিল। কিন্তু জুলাই পেরিয়ে গেলেও কাজ সম্পন্ন হয়নি। আবার যতটুকু সম্পন্ন হয়েছে তাও নিম্নমানের। অভিজ্ঞজনেরা বলছেন যেভাবে রাস্তা হচ্ছে একবছরও টিকবে না। অনেকে বলেছেন মীর আক্তারুজ্জামান কনস্ট্রাকশন এর আগে এই রাস্তাটি করেছিল। ১০ বছরের মধ্যে ফাটাতো দুরের কথা পাথরও উঠেনি। রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুজ্জোহা আগেই বলেছেন, ‘একজন ঠিকাদারকে নিয়ে আমরা চরম বিপদে আছি। তাঁর কাজ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে। কিন্তু তিনি রাস্তাটি কার্পেটিং করার কোনো উদ্যোগ নেননি। এতে করে জনদুর্ভোগ চরমে আকার ধারণ করেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা চিঠি তৈরী করেছি। দ্রুতই উন্দ্ধসঢ়;তন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে ওই চিঠি। অনুমোদন পেলেই ওই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন অনেকটা দুঃখ ও ক্ষোভ নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, ‘রাস্তাটির কাজ শেষ না হওয়ায় আমাদেরকেও সাধারণ মানুষে নানা কথা বলছেন। এতে করে আমরাও চরম বিপাকে আছি। দ্রুত কাজ শেষ না হওয়ায় মানুষ কৃত্রিম দুর্যোগ ও চরম দুর্ভোগে আছেন। আমি বিষয়টি প্রশাসন ও প্রকৌশলীকে জানিয়েছি এবং বলেছি, প্রয়োজনবোধে ঠিকাদার পরিবর্তন করে হলেও রাস্তাটির নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা উচিৎ’। রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের একাধিক তথ্য মতে, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মুঞ্জুর রহমান পিটার কাজ পেলেও কাজটি শেষ করতে গড়িমশি করছেন। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রভাব খাটিয়ে এবং যানবাহন বন্ধের হুমকি দিয়ে কাজটি খুবই ধীরে চলছে। একটু বৃষ্টি হলেই কাদাপানিতে লেপ্টে যাচ্ছে গোটা রাস্তা। তখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। আবার শুষ্ক আবহওয়ায় ধুলা-বালিতে পথচারিদের নাক-মুখ ও চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে এই

আপনি আরও পড়তে পারেন